আমানউল্লাহ আমান : রাজধানীর আফতাব নগর গবাদি পশুর হাটে পশু চিকিৎসকের ব্যবস্থা করেছে প্রাণিসম্পদ অধিদফতর। বৃহস্পতিবার চিকিৎসকদের টিম হাট এলাকায় অস্থায়ীভাবে স্থাপিত ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
টিমের সমন্বয়ক ডা. নজরুল ইসলাম বলেন, ‘আজ আমরা আমাদের মেডিকেল টিমের অফিসটা দেখতে এসেছি। আগামী শনিবার থেকে আমাদের অফিসিয়াল দায়িত্ব শুরু হবে।’
তিনি বলেন, ‘কোনো গরু যদি মাথা, কান, শিং ও লেজ নড়াচড়া না করে এবং খুব ঝিমিয়ে থাকে সেক্ষেত্রে আমাদের দেখাতে পারে। কিন্তু বাহ্যিকভাবে এমন কী কোনো টেস্ট করেও ৭২ ঘণ্টার মধ্যে রেজাল্ট পাওয়া সম্ভব না।’
এর কারণ হিসেবে তিনি উল্লেখ করেন, পশুকে যে ওষুধ খাওয়ানো হয় তা ১২ ঘণ্টার মধ্যে প্রস্রাবের মাধ্যমে চলে যায়। গবাদি পশুর মোটাতাজাকরণ প্রক্রিয়া নিয়ে মানুষের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলেও জানান তিনি।
এই পশু চিকিৎসক বলেন, ‘সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা-উপজেলায় আমাদের চিকিৎসক আছে। এটা সুপারভিশন করার জন্য ঢাকাতে আমাদের টিম কাজ করেছে। পাবলিক হেলথের ক্ষতি হবে এমন কিছু পাওয়া যায়নি।’
তিনি বলেন, ‘যেখানে গরুগুলো মোটাতাজা হয়েছে প্রতিটি থানায় গ্রাম থেকে উপজেলায় ঢাকা থেকে খামাড়িদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের বলা হয়েছে যে, আপনারা পাবলিক হেলথের ক্ষতিকারক কোনো অসুধ ব্যবহার করবেন না। যেটা খামাড়িদের জন্য ক্ষতি হবে, দেশের জন্য ক্ষতি হবে। এটা নিয়ন্ত্রণে আছে বলে আমাদের ধারণা। আমরা যারা এটা প্রাকটিস করি তাদের চোখে এটা ধরা পড়ে নাই।’ -জাগো নিউজ
০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৬/এমটিনিউজ২৪/সৈকত/এমএম