সোমবার, ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১৭, ১১:১৬:৪১

মিতু হত্যা: সন্দেহের তালিকায় এবার এক ভারতীয় নারী

মিতু হত্যা: সন্দেহের তালিকায় এবার এক ভারতীয় নারী

নিউজ ডেস্ক: এসআই পত্নী বনানী বিনতে বশির বহ্নির পর আলোচিত মিতু হত্যায় এবার সন্দেহভাজনের তালিকায় উঠে এসেছে এক ভারতীয় নারীর নাম। তার নাম গায়ত্রী। মিতুর পরিবারের দাবি, ভিনদেশী এই ললনার সাথে মিতুর স্বামী বাবুল আক্তারের অবৈধ সম্পর্ক ছিল। মৃত্যুর কিছুদিন আগে বোন ডা. শায়লা মোশাররফ নিনজাকে স্বামীর পরকীয়ার বিষয়টি জানিয়ে যায় মিতু। শুধু তাই নয়, মিতুকে সরিয়ে ছেলের জন্য অন্য কাউকে বউ করে আনার জন্য বাবুলের পরিবার উঠে-পড়ে লেগেছিল, এমন কথাও মিতু তার পরিবারকে জানিয়ে গেছে।

 
গতকাল রবিবার মিতু হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তাকে এমন তথ্যই দিয়েছে মিতুর পরিবার। গতকাল দুপুর সাড়ে ১২টা থেকে বিকাল সাড়ে তিনটা পর্যন্ত টানা তিন ঘন্টা ঢাকার রামপুরায় মিতুর বাবার বাসায় অবস্থান করে পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করেন তদন্ত কর্মকর্তা সিএমপি’র অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (ডিবি-উত্তর) মো. কামরুজ্জামান। এ বিষয়ে তদন্ত কর্মকর্তা ইত্তেফাককে জানান, মিতুর পিতা মোশাররফ হোসেন এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে তদন্ত সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কথা হয়েছে।

 
মিতুর পিতা সাবেক পুলিশ কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন জানান, আমরা মিতুকে তার শ্বশুর বাড়ির লোকজন নির্যাতন করতো বলে তদন্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। বাবুলের পরিবার মিতুকে সরিয়ে বাবুলকে অন্যত্র বিয়ে করানোর প্রস্তুতি নিচ্ছিল বলে জানিয়েছি। এছাড়া গায়ত্রী নামে এক ভারতীয় মেয়ের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়ার জন্য তদন্ত কর্মকর্তাকে অনুরোধ করেছি। আমরা মিতুর কাছে শুনেছি যে গায়ত্রী ভারতের নাগরিক হলেও কক্সবাজার জেলায় একটি এনজিওতে কাজ করতো। বাবুলও চাকরির সুবাদে বেশ কিছুদিন কক্সবাজারে ছিল। তাদের মধ্যে অনেক মেসেজ আদান-প্রদান হতো। বাবুল মিশনে থাকার সময় তার মোবাইলে আসা কিছু মেসেজ মিতু দেখতে পায়।

 
মোশাররফ হোসেন বলেন, গায়ত্রীর বিষয়টি অনেকটা ‘ওপেন সিক্রেট’ ব্যাপার ছিল। মিতু ও বাবুলের সন্তানরা গায়ত্রীকে চিনতো। প্রতিবেশীরা কৌতুহলবশত গায়ত্রীর বিষয়ে মিতুর কাছে জানতে চাইতো। গায়ত্রীর ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ছিল। কিন্তু মিতু মারা যাওয়ার পর সেটা বন্ধ পাওয়া যাচ্ছে। গায়ত্রীকে খুঁজে বের করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে হয়তো অনেক তথ্য পাওয়া যেতে পারে।

 
মিতুর বাবা আরো বলেন, বহ্নি কিংবা গায়ত্রীই যে মিতুর খুনি- আমরা তা দাবি করি না। আমরা শুধু আমাদের সন্দেহের কথা তদন্ত কর্মকর্তাকে জানিয়েছি। আমরা শুধু আমাদের মেয়ের খুনের মোটিভ জানতে চাই। শুধু খুিনর সাজা হলেই চলবে না, এই খুনের পরিকল্পনাকারী কে সেটাও জানতে চাই।

 
উল্লেখ্য, গত বছরের ৫ জুন ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার পথে নগরীর জিইসি মোড় এলাকায় নৃশংসভাবে খুন হন তত্কালীন পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু। এ ঘটনায় বাবুল আক্তার বাদী হয়ে নগরীর পাঁচলাইশ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর আগে বাবুল আক্তার ও তার মা-বাবা এবং দুই খালাতো ভাইকেও তদন্ত কর্মকর্তা জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন।-ইত্তেফাক
২৭ ফেব্রুয়ারী ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে