মঙ্গলবার, ১১ এপ্রিল, ২০১৭, ০১:০৬:৩৩

মঙ্গল শোভাযাত্রা ঘিরে রাখবেন সোয়াট, পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা

মঙ্গল শোভাযাত্রা ঘিরে রাখবেন সোয়াট, পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা

ঢাকা: ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছ্দুজ্জামান মিয়া বলেছেন, ‘পহেলা বৈশাখে সুনির্দিষ্ট কোনও হুমকি নেই। আমি আগেও বলেছি, বাংলাদেশে কোনও নিরাপত্তা শঙ্কা নেই।’ তবে নিরাপত্তার খাতিরে এবারের শোভাযাত্রার দুইপাশে সোয়াট, সামনে পেছনে পুলিশ ও র‌্যাবের সদস্যরা থাকবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।  

ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে 'রাজধানীর নিরাপত্তা' সংক্রান্ত বিষয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপি কমিশনার এ কথা বলেন। মঙ্গলবার সকালে অনুষ্ঠিত এই সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

আছাদুজ্জামান বলেন, ‘মঙ্গল শোভাযাত্রায় নিরাপত্তা এবার আরও বাড়ানো হয়েছে। চারুকলা থেকে শুরু হওয়া এই শোভাযাত্রায় রাস্তা থেকে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না। যারা শোভাযাত্রায় অংশ নিতে আগ্রহী তারা চারুকলায় যাবে। শুরু থেকেই থাকতে হবে। শোভাযাত্রার দুপাশে সোয়াট টিমের সদস্যরা, সামনে পুলিশ আর পেছনে পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা থাকবেন। পুরো রমনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে। আমাদের ইউনিফর্ম পরা পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে পুলিশ থাকবে। বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা থাকবে। পুরো এলাকা সিসি ক্যামেরার আওতায় থাকবে। শোভাযাত্রা যে এলাকায় হবে সেই রুটেও সিসি ক্যামেরা থাকবে।’

তিনি আরও বলেন, শোভাযাত্রায় কোনও মুখোশ মুখে পরা যাবে না। তবে হাতে নেওয়া যাবে। রমনা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় কোনও হকার ঢুকতে দেওয়া হবে না। তবে সোহরাওয়ার্দীতে হকার থাকবে। এছাড়া রাজধানীর অন্যান্য এলাকার মেলাতে হকার থাকবে। ছিনতাই, ইভটিজিং রোধে আলাদা টিম থাকবে। আমরা ২০১৫ সালের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে কাজ করছি। তাই গতবছর পহেলা বৈশাখে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। এবারও ঘটবে না। কারণ মূল সমস্যাটা হতো প্রবেশমুখে, সেটা আমরা আলাদা করে দিয়েছি, এখন সমস্যা হবে না।

আছাদুজ্জামান বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টার পর ঢাবি এলাকায় কোনও বহিরাগতকে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না। ঢাবির স্টিকার ছাড়া কোনও গাড়ি প্রবেশ করবে না। বিকাল ৫টার মধ্যে সব আয়োজন সম্পন্ন করতে হবে।’
১১ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে