ঢাকা: রাজধানীর বাড্ডা থেকে আজ শুক্রবার সকালে রওনা দিয়েছিলেন শান্তা চৌধুরীর। নয় বছরের ছেলেকে শাহবাগে নিয়ে যাবেন মঙ্গল শোভাযাত্রা দেখতে। কিন্তু সোনারগাঁও মোড়ে বাস ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। কাঁধে ছোট ব্যাগ ঝুলিয়ে ছেলের হাত ধরে তাই হাঁটা শুরু করেন শান্তা। রাস্তায় যানবাহন না থাকায় হাঁটতে অসুবিধা হচ্ছিল না তাঁদের। কিন্তু কিছু দূর আসার পর দুর্ভোগ শুরু হয়। বাংলামোটর মোড়ে চলছিল পুলিশের তল্লাশি। তবে ব্যাগ নিয়ে যেতে শাহবাগে যেতে দেওয়া হবে না। এমন সাফ কথা শান্তাকে জানিয়ে দেন তল্লাশির দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা।
শুরু হয় শান্তার অনুরোধ। তিনি বলতে থাকেন, ‘এই ব্যাগ আমি কোথায় রাখব?’
পুলিশ সদস্যরা বলেন, ‘আমাদের কিছু করার নেই। ব্যাগ রেখে যান।’
ক্ষোভ নিয়ে শান্তা বলেন, ‘আপনারা আমার ব্যাগ চেক করেন। কিছু থাকলে রেখে দেন। এখন বাসায় যেতেও পারব না। আমার টাকা কোথায় রাখব?’
না শোনার ভান করে পুলিশ সদস্যরা মুখ অন্য দিকে ঘুরিয়ে থাকেন। তাই বাধ্য হয়ে বৈশাখের গরমে মধ্যে রাস্তার এক কোণে অসহায় হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন।
শান্তার মতো অনেকেরই একই সমস্যায় পড়তে হয়েছে। কেউ আবার উপায় না পেয়ে বাড়ি ফিরে যান। যাওয়ার সময় ক্ষোভ প্রকাশ করে তাঁদের কেউ কেউ বলেন, ‘এভাবে চললে বর্ষবরণে বের হওয়া যাবে না।’
সাধারণ মানুষের পাশাপাশি গণমাধ্যম কর্মীদের একই পরিস্থিতিতে পড়তে হয়েছে। বিশেষ করে ফটোসাংবাদিকদের। ক্যামেরা নিয়ে যেতে দেওয়া হলেও লেন্সসহ আনুষঙ্গিক সরঞ্জামের ব্যাগ নিতে আপত্তি জানান পুলিশ সদস্যরা। অনেক পুলিশ সদস্যকে শোনা যায়, ‘ব্যাগ নিয়ে কী করবেন। মোবাইলে ছবি তোলেন। লেন্স হাতে নেওয়ার জন্য আরেক জনকে আনলে পারতেন।’
এ ব্যাপারে অনেকে ঢাকা মহানগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখায় যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও সাড়া পাননি।
১৪ এপ্রিল ২০১৭/এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস