সোমবার, ১৭ এপ্রিল, ২০১৭, ০১:২১:০৪

রাস্তায় নামেনি অধিকাংশ সিটিং সার্ভিস গাড়ি!

রাস্তায় নামেনি অধিকাংশ সিটিং সার্ভিস গাড়ি!

ঢাকা : সিটিং সার্ভিস বন্ধ হওয়ায় যাত্রীদের পর্যাপ্ত গাড়ি পাওয়া কথা ছিল। উল্টো এদিন ঘণ্টার পর ঘণ্টা গাড়ির জন্য অপেক্ষা করতে হয় যাত্রীদের। গরমের কারণে ভোগান্তি পৌঁছে চরমে।

স্টপেজে একটি গাড়ি আসতে দেখলেই পঙ্গপালের মতো ছুঁটেছেন যাত্রীরা। ধাক্কা-ধাক্কি করে বাসে উঠতে গিয়ে ঘটেছে নানান বিপত্তি। বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে নারীদের।

বিআরটিএ ও মালিকদের পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী, রোববার থেকে রাজধানীতে সিটিং বা স্পেশাল বাস সার্ভিস চলবে না। ভাড়ায় আদায় করতে হবে সরকার নির্ধারিত হারে। গাড়িতে রাখতে হবে ভাড়ার চার্ট। নির্ধারিত স্টপেজ যাত্রী উঠানো ও নামাতে হবে।

কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেছে, বাসগুলোতে লোকাল যাত্রী তোলা হয়েছে। এমনকি গরমে গাদাগাদি করেও যাত্রী নেয়া হয়েছে। বেশিরভাগ বাস ও মিনিবাসে সরকার নির্ধারিত হারের চেয়ে বেশি ভাড়া আদায় করা হয়। তবে কিছু কিছু বাস সরকার নির্ধারিত হারে ভাড়া আদায় করতেও দেখা গেছে।

অন্যান্য দিনের তুলনায় রোববার গাড়ি চলাচলের সংখ্যা কম ছিল। বিশেষ করে সিটিং ও স্পেশাল সার্ভিসের গাড়িগুলো চলেছে খুবই কম। এতে যাত্রীরাও দুর্ভোগের শিকার হন।

জানা গেছে, মোবাইল কোর্টের সাজা এড়াতে এবং লোকাল সার্ভিস হিসেবে না চালানোর সিদ্ধান্তের কারণে অনেক বাস মালিক গাড়ি নামাননি। এতে পরিবহন সংকট সৃষ্টি হয়।

প্রজাপতি পরিবহনের সুপারভাইজার কবির হোসেন জানান, প্রজাপতি পরিবহনের রাজধানীতে ৯০টি চলাচল করত, এখন মাত্র ১২/১৫টি চলছে।

তিনি বলেন, গাড়ি চালাতে গিয়ে ভাড়া নিয়ে প্রায়শই চালক, হেলপার ও কন্ডাক্টররা যাত্রীদের হাতে মার খাচ্ছেন। চালকরা গাড়ি চালাতে চাচ্ছেন না।

বাড়তি ভাড়া আদায় ও গণপরিবহনে এসব নৈরাজ্যের বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে পরিবহন নেতা খন্দকার এনায়েত উল্যা বলেন, 'পরিবহনে দীর্ঘদিনের অনিয়ম একদিনে যাবে না। কিছু দিন সময় দিতে হবে।'
১৭ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসবি

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে