ঢাকা : রাজধানীতে সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে চলমান অভিযান স্থগিতের সিদ্ধান্ত নিয়েছে সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ বিআরটিএ। বাস মালিকদের সঙ্গে আলোচনার পর এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিআরটিএ।
রাজধানীর এলেনবাড়িতে বুধবার (১৯ এপ্রিল) বৈঠকের পর বিআরটিএ চেয়ারম্যান মো. মশিয়ার রহমান সাংবাদিকদের এই কথা জানান। খন্দকার এনায়েত উল্লাহ-সহ পরিবহন মালিক নেতারাও সভায় উপস্থিত ছিলেন।
তিনি বলেন, আগামী ১৫ দিন সিটিং সার্ভিসের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ থাকবে। তারপর সংশ্লিষ্ট সবাইকে নিয়ে বসে এই বিষয়ে একটি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এই সময়ের মধ্যে বিআরটিএ নির্ধারিত চার্ট অনুযায়ী সব বাসের ভাড়া নিতে হবে বলে জানান বিআরটিএ চেয়ারম্যান। তা না করলে সড়কে কার্যরত ভ্রাম্যমাণ আদালত ব্যবস্থা নেবে।
বিআরটিএ চেয়ারম্যান বলেন, কোনো অবস্থাতেই ভাড়ার ব্যাপারে আপস করবো না। সরকারি হিসেবে কিলোমিটার প্রতি যা ভাড়া আছে, তা নিতে হবে। যাত্রীরা যদি চায়, তাহলে সিটিং সার্ভিসকে একটি আইনি কাঠামোয় আনার পরিকল্পনা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
বিআরটিএর দেওয়া রুট পারমিটে সিটিং বাস চালানোর বৈধতা না থাকলেও রাজধানীতে বহু দিন ধরেই চলছে এই ধরনের বাস সার্ভিস। এই বাসের ভাড়া বেশি রাখা হলেও সেবা নিয়ে যাত্রীদের অভিযোগ বরাবরই ছিল।
বাস মালিকরা ঘোষণা দিয়ে রবিবার (১৬ এপ্রিল) সিটিং সার্ভিসের বাস চালানো বন্ধের ঘোষণা দেওয়ার পর বিআরটিএর ভ্রাম্যমাণ আদালত এর বিরুদ্ধে অভিযানে নামে। এতে অনেক বাস মালিক সড়কে গাড়ি না নামালে দেখা দেয় পরিবহন সঙ্কট।
ভাড়া নিয়ে যাত্রী ও পরিবহন শ্রমিকদের বচসার মধ্যে বাস সঙ্কটের এই দুর্ভোগ চলে গত তিনদিন ধরে। এই অবস্থার মধ্যে বুধবার বিকেলে রাজধানীর তেজগাঁওয়ের এলেনবাড়িতে বিআরটিএর কার্যালয়ে বৈঠকে ডাকা হয় পরিবহন শ্রমিকদের।
তিনি বলেন, ‘একটা উদ্দেশ্য নিয়েই মালিকরা সিটিং সার্ভিস বন্ধ করেছিলেন। তাদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা তাদের সে উদ্যোগে সহায়তা করেছি। তবে সিটিং সার্ভিস বন্ধ হওয়ার পর নারী, শিশু, বয়স্ক ও প্রতিবন্ধী যাত্রীদের অসুবিধার কথা বিভিন্ন গণমাধ্যমে উঠে এসেছে। তাদের গাড়িতে উঠতে সমস্যা হচ্ছে।’
১৯ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এসএস