ঢাকা: কওমি সনদের স্বীকৃতির ঘোষণায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছে কওমি শিক্ষাসনদ স্বীকৃতি বাস্তবায়ন পরিষদ। সংগঠনটি সদস্য সচিব ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার কওমি ঘরানার প্রায় তিন কোটি মানুষের হৃদয় জয় করে নিয়েছেন। বুধবার সকালে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সচিব ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বিশ লাখ শিক্ষার্থীর জীবনের গতি সঞ্চারিত করার জন্য স্বীকৃতির ঘোষণা দিয়েছেন। তাতে দেশের একজন মহৎ ও উদার অভিভাবকের পরিচয় দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। এজন্য শেখ হাসিনাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই। এছাড়াও শিক্ষামন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব, ধর্মবিষয়ক সম্পাদক, এবং আহমদ শফীর প্রতিও আমাদের কৃতজ্ঞতা। তবে স্বীকৃতির জন্য সবচেয়ে বেশি পরিশ্রম করেছেন জাতীয় দ্বীনী শিক্ষাবোর্ড বাংলাদেশের চেয়ারম্যান ফরীদ উদ্দীন মাসঊদ তার প্রতিও কৃতজ্ঞতা।
প্রধানমন্ত্রীর কাছে দাবি জানিয়ে ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, স্বীকৃতির ঘোষণার পর প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়েছে। আমরা আশা করবো, খুব শিগগিরই সংসদে পাশ করে এই ঘোষণাকে একটি আইনে পরিণত করার ক্ষেত্রে প্রধানমন্ত্রী যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।
কওমির নিম্ন স্তরের মান প্রসঙ্গে ইয়াহইয়া মাহমুদ বলেন, এসএসসি, এইচএসসি ছাড়াই সর্বোচ্চ পর্যায়ের এই ঘোষণাকে ভিন্নভাবে দেখার কোনও কিছু নেই। ইসলামিক স্টাডিজের এমএ’র মর্যাদা নতুন কিছু নয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আমলে এমএ’র মান না থাকলেও একটা মর্যাদা ছিল। পরে জিয়াউর রহমানের আমলে তা বাতিল করা হয়েছিল। আশির দশকে জাতীয় মসজিদের সাবেক খতিব মাওলানা উবায়দুল হক সরকারি আলিয়া মাদ্রাসার হেড মাওলানার দায়িত্বের পালন করেছেন। মাওলানা উবায়দুল হকের পদ ছিল জয়েন্ট সেক্রেটারি পর্যায়ের। অথচ তার কোনও সরকারি সনদ ছিল না। শুধু কওমি মাদ্রাসার সনদই ছিল। সে সময়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইসহাকের সভাপতিত্বে কমিটি যাচাই বাছাই করে সিদ্ধান্ত দিয়েছিল, দাওরায়ে হাদিসের মান আরবি ও ইসলামিক স্টাডিজের চেয়ে বেশি।
২০ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/এইচএস/কেএস