নিউজ ডেস্ক: বৈরি আবহাওয়া উপেক্ষা করে সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, গায়ক ও মুক্তিযোদ্ধা লাকী আখন্দকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে জড়ো হয়েছেন অনেকেই। আজ শনিবার বেলা সাড়ে ১১টায় শিল্পীকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় গার্ড অব অনার দেওয়া হয়। এখন সর্বস্তরের মানুষ তার প্রতি শেষ শ্রদ্ধা নিবেদন করছেন। এ সময় সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, ম্যাজিস্ট্রেট রবীন্দ্র চাকমাসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে সকাল ১০টায় পুরান ঢাকার আরমানিটোলা মাঠে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এতে লাকীর পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী অংশ নেন। জানাজা শেষে তার মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়। গার্ড অব অনার শেষে সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য শিল্পীর মরদেহ রাখা হয় মূল বেদীতে। সাড়ে ১২টা পর্যন্ত সর্বস্তরের মানুষ শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন।
শ্রদ্ধা নিবেদন শেষ হলে বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর বিকেলে মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে। শুক্রবার সন্ধ্যায় মৃত্যুবরণ করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের এ কণ্ঠ সৈনিক। দীর্ঘদিন ধরে ফুসফুসের ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। ১৯৫৬ সালের ১৮ জুন জন্ম নেওয়া এই শিল্পীর জীবন থেমে গেল ৬১ বছর বয়সে।
আশির দশকের তুমুল জনপ্রিয় কণ্ঠশিল্পী লাকী আখন্দ একাধারে সঙ্গীত পরিচালক, সুরকার ও গীতিকার। ১৯৮৪ সালে সারগামের ব্যানারে প্রথমবারের মতো একক অ্যালবাম বের করেন লাকী আখন্দ। ওই অ্যালবামের এই নীল মণিহার, আমায় ডেকো না, রীতিনীতি জানি না, মামনিয়া, আগে যদি জানতাম গানগুলো শ্রোতাদের মাঝে ব্যাপক সাড়া ফেলে।
১৯৮৭ সালে ছোট ভাই হ্যাপী আখন্দের মৃত্যুর পরপর সঙ্গীতাঙ্গন থেকে অনেকটাই স্বেচ্ছায় নির্বাসন নেন এ গুণী শিল্পী। এক দশক পর ১৯৯৮ সালে পরিচয় কবে হবে ও বিতৃষ্ণা জীবনে আমার অ্যালবাম দুটি নিয়ে আবারও শ্রোতাদের মাঝে ফিরে আসেন লাকী আখন্দ।
২২ এপ্রিল ২০১৭/এমটি নিউজ২৪/টিটি/পিএস