বৃহস্পতিবার, ০৪ মে, ২০১৭, ০৫:৪১:০০

পাসের হার কমার যে তিন কারণের কথা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

পাসের হার কমার যে তিন কারণের কথা বললেন শিক্ষামন্ত্রী

ঢাকা : তিন কারণে এবার এসএসসি ও সমমান পরীক্ষায় ফলাফল আগের বারের চেয়ে খারাপ হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ। নতুন পদ্ধতিতে উত্তরপত্র মূল্যায়ন, প্রশ্নফাঁস রোধ এবং পরীক্ষাকেন্দ্রে কড়াকড়ির কারণে গত বছরের চেয়ে এবার কম পাস করেছে বলে উল্লেখ করেছেন তিনি।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে পরীক্ষার ফল নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এই কথা জানান। এসময় তিনি বলেন, ‘ছোটখাটো অনেক কারণ আছে পরীক্ষার ফল বিপর্যয়ের। তবে এর মূল কারণ নতুন পদ্ধতিতে উত্তরপত্র মূল্যায়ন। প্রশ্নফাঁস রোধ ও পরীক্ষাকেন্দ্রে কড়াকড়ির কারণেও আগের বছরের চেয়ে কম পাস করেছে। তবে ফলাফল বিপর্যয় মনে হলেও আসলে বিপর্যয় নয়, এবছর সঠিক মূল্যায়ন হয়েছে।’

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বোর্ডগুলো বেশকিছু কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। প্রধান পরীক্ষকদের উত্তরমালা প্রণয়ণের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। সাধারণ পরীক্ষকদের উত্তরপত্র মূল্যায়নের গুণগতমান যাচাইয়ের জন্য একটি প্রশ্নমালা সব প্রধান পরীক্ষককে সরবরাহ করা হয়েছে। এ কারণে এবার সঠিক মূল্যায়ন হয়েছে।

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বের আগে এসএসসি ও এইচএসসিতে কোনও শৃঙ্খলা ছিল না। ফলাফল কবে হবে সেটারও কোনও সময়সীমা ছিল না। এই সরকার ক্ষমতায় আসার পর আমরা এসব ক্ষেত্রে শৃঙ্খলা নিয়ে এসেছি।’

খাতা মূল্যায়ন নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা মূল্যায়নে কোনও পদ্ধতি ছিল না। শত শত বছর এভাবেই চলে আসছে। কিন্তু আমরা এখন একটা মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করেছি। এবার আমাদের ফলাফল দেখে মনে হবে অনেক বেশি ফেল করেছে। মনে হতে পারে, আমাদের ছেলেমেয়েরা খারাপ হয়ে গেছে। কিন্তু এভাবে দেখলে হবে না। এমন ফলাফলের জন্য আমরা প্রস্তুত ছিলাম। আমরা জানতাম এবার যেভাবে আমরা পরীক্ষার ফলাফল মূল্যায়ন পদ্ধতি চালু করেছি সেটার কারণে এমনটা হয়েছে।’

নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, ‘আমাদের খাতা দেখার পদ্ধতি ক্রুটিপূর্ণ ছিল। কিন্তু আমরা চিন্তা করলাম এটাকে একটি পদ্ধতির মধ্যে আনা দরকার। শিক্ষকদের খাতা মূল্যায়নের ক্ষেত্রেও অনেক তারতম্য হচ্ছে। দেখা গেছে, একই খাতা একজন দেখে এক রকম নম্বর দিচ্ছেন। আবার আরেকজন শিক্ষক সেটা দেখে আরেক রকম নম্বর দিচ্ছেন। কিন্তু আমরা গত তিনবছর এটা নিয়ে গবেষণা করেছি। অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়েছি। এবার আমরা চালু করেছি, প্রধান পরীক্ষককে ১২ শতাংশ খাতা দেখতে হবে। আগে তারা খাতা না দেখেই মতামত দিতেন। কিন্তু এখন আর সে সুযোগ নেই।’

৪ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে