নিউজ ডেস্ক: বাংলাদেশ থেকে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেয়ার নিতে মিয়ানমারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত মিয়ানমারের রাষ্ট্রদূত মিয়ো মিন্ত থানের বিদায়ী সাক্ষাৎকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
তার এই বার্তা মিয়ানমার সরকারের কাছে পৌঁছে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে রাষ্ট্রদূতকে প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থী সমস্যা সমাধানে আমাদের একত্রে একটি পন্থা খুঁজে বের করতে হবে। প্রতিবেশী হিসেবে আমরা সবসময় আলোচনার মাধ্যমে সমস্যাটির সমাধান করতে চাই।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম সাংবাদিকদের এ সব কথা জানান। সচিব বলেন, শরণার্থীরা বাংলাদেশে সামাজিক ও পরিবেশগত চাপ সৃষ্টি করছে, এ অবস্থানের কথা পুনর্ব্যক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
বাংলাদেশে বহু অ-নথিভুক্ত রোহিঙ্গা শরণার্থী বসবাস করছে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, রোহিঙ্গারা খুবই মানবেতর জীবনযাপন করছে।
পার্বত্য চট্টগ্রামে বিদ্রোহীদের সঙ্গে শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরের বিষয়ে আলোকপাত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এ চুক্তির আওতায় বাংলাদেশ শান্তিপূর্ণভাবে ভারত থেকে শরণার্থীদের ফেরত এনেছে।
প্রেস সচিব বলেন, বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী প্রতিবেশী হিসেবে মিয়ানমারের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আরও বৃদ্ধি করতে উভয় দেশের মধ্যে বিদ্যমান সম্পর্ক জোরদারের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এ প্রসঙ্গে তিনি দু’দেশের যৌথ বাণিজ্য কমিশন ও নৌপরিবহন কার্যক্রম সক্রিয় করার উপরও গুরুত্বারোপ করেন।
শেখ হাসিনা সন্ত্রাসবাদে তার সরকারের জিরো টলারেন্স নীতির কথা পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, আমাদের ভূমি প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে ব্যবহার করতে দেব না। বাংলাদেশ প্রতিবেশীদের সঙ্গে সম্পর্কের মূল্যায়ন করে। সাম্প্রতিক সময়ে মিয়ানমারের সশস্ত্র বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে বাংলাদেশে ঠাঁই না দিতে দৃঢ় অবস্থানে রয়েছি।
মিয়ানমারের বিদায়ী এ রাষ্ট্রদূত বলেন, তার সরকার রোহিঙ্গা সমস্যা সমাধানে আন্তরিক এবং এ ক্ষেত্রে কফি আনান কমিশনের কিছু সুপারিশ বাস্তবায়নে একমত। তবে এর কিছু সুপারিশ বাস্তবায়ন করা দুরূহ। অবশ্য মিয়ানমার সরকার সমস্যা সমাধানে পৌঁছতে আন্তরিক। এ সময় প্রধানমন্ত্রী মিয়ানমারের নেতা অং সান সুচিকে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানান।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সচিব সুরাইয়া বেগম এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস