শুক্রবার, ১২ মে, ২০১৭, ০৫:০৩:৫৯

কাঠগড়ায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন সাফাত ও সাদমান

কাঠগড়ায় কান্নায় ভেঙে পড়লেন সাফাত ও সাদমান

ঢাকা : রাজধানীর বনানীর আবাসিক হোটেলে দুই ছাত্রী সম্ভ্রমহানীর ঘটনায় সিলেট থেকে গ্রেফতার সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফকে ঢাকা সিএসএম আদালতে আদালতে আনা হয়েছে। ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে কাঠগড়ায় উঠেই কান্নায় ভেঙে পড়েন তারা।

শুক্রবার দুপুর ২টা ৪০ মিনিটে তাদের ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করা হয়। এসময় আইনজীবীরা তাদের সান্ত্বনা দিতে থাকেন। আইনজীবীরা তাদের ধৈর্য ধারণ করতে বলেন এবং তাদের কিছুই হবে না বলেও আশ্বস্ত করেন।

মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদকে ছয় দিন ও তার সহযোগী সাদমান সাকিফকে পাঁচ দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ। তদন্ত কর্মকর্তার করা রিমান্ড আবেদনের শুনানি করে ঢাকার মহানগর হাকিম রায়হানুল ইসলাম শুক্রবার এই আদেশ দেন।

শুক্রবার ডিবি কার্যালয়ে ওই দুই আসামিকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে দুপুরে তাদের মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট মো. রায়হান- উল-ইসলামের আদালতে তোলার জন্য আনা হয়। এর আগে ডিএমপির জয়েন্ট কমিশনার (ক্রাইম) কৃষ্ণপদ রায় জানান, বনানীতে দুই ছাত্রী সম্ভ্রমহানীর ঘটনায় সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফ জড়িত বলে প্রতীয়মান হয়েছে। আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাদের আদালতে উপস্থাপন করে ১০ দিনের রিমান্ড চাওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ২৮ মার্চ বন্ধুর সঙ্গে জন্মদিনের অনুষ্ঠানে গিয়ে বনানীর ‘দ্য রেইন ট্রি’ হোটেলে সম্ভ্রমহানীর শিকার হন দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী তরুণী। ওই ঘটনায় গত ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় অভিযুক্ত সাফাত আহমেদ, নাঈম আশরাফ ও সাদমান সাকিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন তারা। মামলার পর থেকেই পলাতক ছিলেন আসামিরা।

সাফাত (২৬) আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে এবং সাদমান (২৪) পিকাসো রেস্তোরাঁর অন্যতম মালিক ও রেগনাম গ্রুপের পরিচালক মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে।
১২ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে