নিউজ ডেস্ক: আপন জুয়েলার্সের স্বর্ণ ও স্বর্ণালঙ্কার কিভাবে, কোত্থেকে আসে, সেটি খতিয়ে দেখতে শুল্ক গোয়েন্দা ও গোয়েন্দা অধিদফতরের কর্মকর্তারা অনুসন্ধান করছেন বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক। একই সাথে আপন জুয়েলার্সের উত্তরা ও গুলশানে স্বর্ণের পাশাপাশি ডায়মন্ডের যে শোরুম আছে তাতেও ব্যবসায়িকভাবে ‘অস্বচ্ছতার’ তথ্যাদি অনুসন্ধানকারী দলের কাছে রয়েছে।
বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের সাথে আলাপকালে শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক ড. মইনুল খান এসব তথ্য জানান। তিনি বলেন, তার এসব ব্যবসার আড়ালে অন্য কোনো চোরাচালান হচ্ছে কি না সেটিও যাচাই-বাছাই করে দেখা হচ্ছে।
শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগের মহাপরিচালক জানান, যারা স্বর্ণের ব্যবসা করছেন তাদের অনেকেরই নামে আমাদের কাছে অভিযোগ আছে। তার মধ্যে আপন জুয়েলার্সের নামও আছে। আপন জুয়েলার্সের অস্বচ্ছ ব্যবসা নিয়ে বহু তথ্য আছে। যা যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলছে। অসঙ্গতি কিছু পাওয়া গেলে প্রয়োজনে আপন জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারীকেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
শুল্ক গোয়েন্দাদের ধারণা, এই ব্যবসার আড়ালে মানি লন্ডারিং কিংবা স্মাগলিংয়ের মতো বড় ধরনের কাজে আপন জুয়েলার্সের মালিক জড়িত থাকতে পারেন।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে শুল্ক গোয়েন্দা অধিদফতরের শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, দিলদার আহমেদের ছেলের মামলার সাথে আমাদের তদন্তের কোনো সম্পর্ক নেই। অনেক আগে থেকেই গোয়েন্দারা বিষয়টি অনুসন্ধান করছেন এবং তাদের নজরদারিতে রাখা হয়েছে। এই ব্যবসায় শুল্ক ফাঁকিসহ নানা অনিয়মের ভিত্তিতেই আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত আছে। তাদের লেনদেনের স্বচ্ছতার ব্যাপারেও খোঁজখবর নেয়া হচ্ছে। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যেই আমরা সব তথ্য-প্রমাণাদি নিয়ে বিস্তারিত জানাতে পারব।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপন জুয়েলার্সের ব্যবসার জন্য এত স্বর্ণ কোথা থেকে আসছে সেটি নিয়েও গোয়েন্দারা তদন্ত করে দেখছেন। তবে এসব অভিযোগের বিষয়ে গতকাল রাতে আপন জুয়েলার্সের স্বত্বাধিকারী দিলদার আহমেদের সাথে যোগাযোগ করতে তার মোবাইলে ফোন করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস