ঢাকা : ‘এ বয়সটা হলো উপভোগ করার বয়স তাই আমি উপভোগ করছি। এটা কোনো অন্যায় না। আমি প্রতিদিন কোনো না কোনো হোটেলে এরকম কাজ করেই থাকি। ’ রিমান্ডে সাফাত আহমেদ এসব তথ্য জানিয়েছে বলে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন তদন্ত কমিটির সদস্য গোয়েন্দা পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার শেখ নাজমুল আলম ।
সূত্র জানায়, তদন্ত কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সাফাত বলেন, বাবা আমার বিষয়ে সবই জানে। বাবা আর আমি মাঝে মাঝে এক সঙ্গেই মদ খেয়ে থাকি। এটা কোনো ঘটনাই না।
জিজ্ঞাসাবাদে তিনি জানান, দুই বছর আগে টেলিভিশন উপস্থাপিকা ও মডেল পিয়াসাকে বিয়ে করেন সাফাত। তার আগে আমেরিকায় গ্রিনকার্ড পাওয়া এক বাঙালি মেয়েকেও বিয়ে করেন। পরে তাকেও ছেড়ে দেন বলে জানান তিনি।
নর্থসাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিবিএ-তে ভর্তি হলেও পড়াশোনা শেষ করতে পারেননি সাফাত। তৃতীয় সেমিস্টারেই ঝুলে আছে তার পড়াশোনা। তবে তা শেষ করতে না পারলেও বেপোরোয়া জীবনযাপনে ছিলেন বেশ এগিয়ে।
মামলা ও বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত নাঈমের বাবা একজন ঠিকাদার এবং তিনি একটি টেলিভিশন স্টেশনের বিজ্ঞাপন বিভাগে কর্মরত। আর ‘পিকাসো’ রেস্তরাঁর মালিকের ছেলে সাদমানও একটি টেলিভিশন স্টেশনে কর্মরত।
এর আগে ছেলের অপকর্মকে সমর্থন দিয়ে সাফাতের বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম বলেন, “আরে মিয়া, আমার পোলা আকাম করছে তো কি হইছে। জোয়ান পোলা একটু-আধটু তো এসব করবই। আমিও তো করি। আমার যৌবন কি শেষ হয়ে গেছে? আমি এখনও বুড়া হইনি।”
মামলা প্রসঙ্গে প্রশ্ন করতেই সেলিম ক্ষুব্ধ হয়ে বলেন, ‘আরে ভাই এমন ফালতু বিষয় নিয়ে হৈচৈ করার কি আছে? মানছি আমার ছেলে আকাম করছে। কিন্তু ওই দুইটা মেয়েও তো ভালো না। খারাপ মেয়ে। তা না হলে কেউ গভীর রাতে হোটেলে যায়? ভদ্রঘরের কোনো মেয়ে কি রাত-বিরাতে হোটেলে যাবে?’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, পুরোপুরি প্ল্যানিং করে ওরা এটা করেছে। আমার সাবেক পুত্রবধূ ফারিয়া মাহবুব পিয়াসাও ওদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে। আমিও তো অনেক জায়গায় আকাম করি। করুম না কেন। আমি কি বুড়া হইয়া গেছি নাকি? আমার যৌবন নাই? আমিও তো হোটেলে যাই। আমার ছেলে যদি হোটেলে ওগো লগে কিছু কইরা থাকে তো মিলমিশ কইরা করছে। সম্ভ্রমহানী করতে যাইব ক্যান?’
১৪ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস