সোমবার, ১৫ মে, ২০১৭, ১০:৩৭:৪৪

সাফাতের বন্ধুদের নাম শুনেই হতবাক গোয়েন্দারা

সাফাতের বন্ধুদের নাম শুনেই হতবাক গোয়েন্দারা

নিউজ ডেস্ক: বিত্তশালী পিতার সন্তান সাফাত আহমেদ। টাকা খরচ করেন দু’হাতে। চড়েন নামিদামি ব্র্যান্ডের গাড়িতে। সার্বক্ষণিক সশস্ত্র দেহরক্ষীবেষ্টিত সাফাত যখন যা চেয়েছেন তাই পেয়েছেন। ভালো লাগার অনেককেই তিনি বাহুবন্দি করেছেন। এ তালিকায় হাইপ্রোফাইল বান্ধবীদের কেউ বাদ যাননি। ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধুকে নিয়ে প্রায় প্রতি রাতেই তিনি রুমপার্টিতে মেতে থাকতেন। সাফাতের বন্ধুদের তালিকায় দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, শিল্পপতি, রাজনৈতিক নেতা, সংসদ সদস্য এবং উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মকর্তার সন্তানও রয়েছেন।

বনানীর হোটেল রেইনট্রিতে দুই তরুণী নির্যাতনের ঘটনায় রিমান্ডে থাকা সাফাত আহমেদ এভাবে মুখ খুলছেন। তবে তার বন্ধুদের নাম শুনে হতবাক গোয়েন্দারা। এমনকি কয়েকজনের নাম শুনে কিছুটা বিব্রতবোধ করছেন তারা।

এছাড়া গোয়েন্দাদের জিজ্ঞাসাবাদে তার বাবা আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের সোনা চোরাচালানের নানা চাঞ্চল্যকর তথ্যও দিচ্ছেন তিনি।

তবে সাফাত আহমেদ ও সাদমান সাকিফের কাছ থেকে যেসব তথ্য মিলছে তা নিয়ে শেষ পর্যন্ত কতদূর এগোতে পারবেন সেটি নিয়েও সংশয়ে আছেন গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের কেউ কেউ।

এদিকে সূত্র বলছে, নির্যাতন মামলায় প্রাথমিকভাবে যেসব তথ্য পাওয়া যাচ্ছে তাতে রেইনট্রি হোটেলের মালিকপক্ষও দায় এড়াতে পারছে না। এই অপরাধের সহযোগী হিসেবে তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ পাওয়া যাচ্ছে।

বিষয়টি আঁচ করতে পেরে অজ্ঞাত স্থানে চলে গেছেন বনানীর রেইনট্রি হোটেলের মালিক ঝালকাঠি-১ আসনের সরকারদলীয় সংসদ সদস্য বিএইচ হারুনের চার ছেলে। শনিবার থেকে তাদের মোবাইল ফোনও বন্ধ রয়েছে।  

দুই তরুণী নির্যাতন মামলার তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এক কর্মকর্তা বলেন, রিমান্ডের দ্বিতীয় দিনে জিজ্ঞাসাবাদে সাফাত আহমেদ চাঞ্চল্যকর অনেক তথ্য দিয়েছেন।

তিনি গোয়েন্দা কর্মকর্তাদের জানান, এ ধরনের পার্টি তাদের প্রথম নয়। আর এসব পার্টিতে কী হয় তা জেনেশুনেই তাদের বান্ধবীরা উপস্থিত থাকতেন।

কিন্তু রেইনট্রি হোটেলের ঘটনায় কেন তারা (দুই তরুণী) অভিযোগ করল সে বিষয়টি তিনি নাকি বুঝতে পারছেন না (!) তবে এ ঘটনার জন্য নাঈম আশরাফের (আবদুল হালিম) বাড়াবাড়িকে বেশি দায়ী করেন সাফাত।

এছাড়া জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার রাতে দুই তরুণীর সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক স্থাপনের বিষয়টি সাফাত অনেকটা স্বাভাবিক বিষয়ের মতো স্বীকার করেন।

এ ঘটনায় ৬ মে রাজধানীর বনানী থানায় আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, ছেলের বন্ধু নাঈম আশরাফ (সিরাজগঞ্জের আবদুল হালিম) ও সাদমান সাকিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন দুই ভিকটিম।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে