নিউজ ডেস্ক: অতীত মনোবেদনা থেকেই এসএসসি ফল নিয়ে খালেদা জিয়া বিরূপ মন্তব্য করেছেন বলে মনে করছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ।
সোমবার বিকালে দলের সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রচার ও প্রকাশনা বিষয়ক বিশেষ উপকমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শনিবার সম্প্রতি প্রকাশিত এসএসসি পরীক্ষার ফল নিয়ে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া বলেন, এসএসসিতে পাশের হার এতো বেশি কিভাবে হয়!
মেট্রিকের গোণ্ডি পেরোতে না পারা খালেদা জিয়া এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সাফল্যেও ঈর্ষান্বিত মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমারা খালেদা জিয়ার মনোবেদনা বুঝি। তাকে ছোটো করার জন্য বলছি না! তিনি তার সময়ের মেট্রিকের গোণ্ডি পেরোতে পারেননি।
এসময় তিনি খালেদা জিয়ার মার্কশিট সাংবাদিকদের সামনে প্রদর্শন করেন। ইংরেজির দুই পত্রেই খালেদা জিয়া ফেল করেছিলেন। প্রথমপত্রে ২৬ আর দ্বিতীয়পত্রে ১৫। বাংলার দুই পত্রে পাশ করেছিলেন ৩৮ ও ৩৭ নম্বর পেয়ে। তবে উর্দূতে পেয়েছিলেন তারও বেশি ৪২।
বাংলা থেকে উর্দূতে বেশি পাওয়ার কারণ হিসেবে পাকিস্তান প্রীতিকে বড় করে দেখছেন আওয়ামী লীগের এ নেতা। তবে, সর্বোচ্চ ৫০ নম্বর ছিলো গণিতে।
এ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি আগে থেকেই জানতেন ভবিষ্যতে চুরি-টুরি করতে হবে! এজন্যই হয়তো গণিতটা ভালো করে রপ্ত করেছিলেন।
এসএসসি পরীক্ষার্থীদের ফল সম্পর্কে খালেদা জিয়ার মন্তব্য জাতিকে হতাশ করেছে মন্তব্য করে তিনি বলেন: আপনার (খালেদা জিয়া) এখনই জাতির সামনে ক্ষমা উচিত। তার এ বক্তব্য শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের হতাশ করেছে।
বিএনপির ভিশন-২০৩০কে আওয়ামী লীগ ডিজিটাল চুরি বললেও বিএনপি দাবি করেছেন-আওয়ামী লীগের আগেই ২০০৮ সালে বিএনপি ভিশন-২০৩০ দিয়েছিলো। এর জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন: আমি তো মনে করি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নাম ‘মিথ্যা ফখরুল ইসলাম আলমগীর’ হওয়া উচিত! ২০০৮ সালেই যদি ভিশন-২০৩০ দেওয়া হয়ে থাকলে কেউ জানতে জানতে পারলো না কেনো? খালেদা জিয়া কি ফখরুল সাহেবের কানে কানে বলে দিয়েছিলেন! বিএনপি তাদের ভিশন-২০৩০ কে রংধনু ভিশন নামে আখ্যা দিয়েছে।
“প্রকৃত অর্থেই তাদের ভিশন-২০৩০ রংধনুর মতোই। রংধনু যেমন হঠাৎ আকাশে উঠে আবারও বাসাতে মিলিয়ে যায়, বিএনপির ভিশনও রংধনুর মতো বাতাসে মিলিয়ে গেছে।”
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস