নিউজ ডেস্ক: তিনদিন আগে তিনি দাবি করেছিলেন, তাদের হোটেলে আপত্তিকর কিছু ঘটেনি। এখন অবশ্য তিনি বলছেন, পুলিশ ও গোয়েন্দারা তদন্ত করছে, তাই তিনি কিছু বলবেন না।
তিনি বনানীর রেইনট্রি হোটেলের ইন্টারনাল অপারেশন এক্সিকিউটিভ ফারজান আরা রিমি।
গত ১৩ মে সাংবাদিকদের সামনে তিনি হোটেল কর্তৃপক্ষের বক্তব্য তুলে ধরেন। ঘটনার দিনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেদিন (২৮ মার্চ) অস্ত্র ফ্রন্ট ডেস্কে জমা দিয়ে হোটেলে প্রবেশ করেছিল সাফাত, সাদমান ও নাঈমরা। ফলে অস্ত্রের মুখে নির্যাতনের যে অভিযোগ করেছেন, তা মিথ্যা।
আজ হোটেল কর্তৃপক্ষের সংবাদ সম্মেলনেও তিনি উপস্থিত ছিলেন। তবে, আগের বক্তব্যের পুনরাবৃত্তি না করে সবকিছু তদন্তের উপর ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। একইরকম অবস্থানে ছিলেন জেনারেল ম্যানেজার ফ্রাঙ্ক ফোরগেট। তবে, সংবাদ সম্মেলনে যে লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করা হয় তাতে দাবি করা হয়েছে, রিমি এবং ফোরগেটের বক্তব্য গণমাধ্যমে খণ্ডিতভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
লিখিত বক্তব্যে রেইনট্রি গ্রুপ জেনারেল ম্যানেজার রাজা গোলাম মোস্তফা দাবি করেন: আমরা অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের হোটেলের দু’জন কর্মকর্তার নাম উদ্ধৃত করে হোটেলের নামে খণ্ডিত বক্তব্য উপস্থাপিত হয়েছে। হোটেল কর্তৃপক্ষ কখনই আদালতে চলমান মামলা এবং তার তদন্ত কার্যক্রম ব্যাহত হয় এমন কোন বিবৃতি প্রদান করেনি এবং তা করা সমর্থনও করে না।
এতে বলা হয়: ঘটনার দিন হোটেলের ৭০০ এবং ৭০১ নম্বর স্যুইটে ভিকটিমদের সাথে এই ন্যাক্কারজনক অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কিনা তা আদালতে প্রমাণিত হবে এবং আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তদন্ত করছে। এবং এটি প্রক্রিয়াধীন।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/টিটি/পিএস