নিউজ ডেস্ক: উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ে দেশের সব সরকারি-বেসরকারি কলেজে জারি করা নীতিমালা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।
শিক্ষা সচিব, ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যানসহ চারজনকে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। একইসঙ্গে ভিকারুননিসা নূন কলেজের ভর্তি কার্যক্রমকে এই নীতিমালার বাইরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এই আদেশের মাধ্যমে মোট চারটি কলেজকে ভর্তি নীতিমালা-২০১৭ এর বাইরে রাখার নির্দেশ দিলেন হাইকোর্ট। এর আগে সোমবার নটরডেম কলেজ, হলিক্রস কলেজ ও সেন্ট জোসেফ কলেজকে নীতিমালার বাইরে রাখতে পৃথক আদেশ দেন হাইকোর্ট।
গত ১০ মে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির জন্য জারি করা নীতিমালা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করেন। যদিও জারিকৃত নীতিমালা অনুযায়ীই গত ৯ মে থেকে ভর্তির আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে।
আবেদনের বিষয়ে তিনি বলেন, ১৯৬১ সালের মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধ্যাদেশ দ্বারা শিক্ষা ব্যবস্থা পরিচালিত হচ্ছে। প্রায় ৪৬ বছর পরও এ নিয়ে আর কোনও আইন হয়নি। ওই অধ্যাদেশের কোথাও নেই যে শিক্ষা বোর্ড ভর্তি প্রক্রিয়া জিপিএর মাধ্যমে সিরিয়াল করে দেবে। শত বছর পূর্ব থেকেই নিয়ম রয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু করবে।
তিনি আরও বলেন, ১৯৬১ সালের অধ্যাদেশে ২, ৩, ১৮ ও ৩৯ ধারায় বোর্ডের কাজ কী হবে তা নির্ধারণ করা আছে। বোর্ডের ভর্তি ও পরিচালনা সংক্রান্ত বিষয় নির্ধারণ করা। কিন্তু সরকার সার্কুলারে সেই ক্ষমতা বোর্ডকে দেয়নি। ওই অধ্যাদেশের সঙ্গে মিল রেখে ২০০৯ সালে নীতিমালা তৈরি করে এবং সেখানে ৪২ ধারায় কলেজের ভর্তি প্রক্রিয়া অধ্যক্ষের হাতে ন্যস্ত করা আছে। সেই অনুযায়ী সরকারি সার্কুলার এই রেগুলেশনের সঙ্গেও সাংঘর্ষিক। এসব কারণ দেখিয়ে রিট আবেদনটি দায়ের করা হয়।
এর আগে গত ৭ মে একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির নীতিমালা-২০১৭ জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। নীতিমালায় বলা হয়েছে, অনলাইনে ১৫০ টাকা আবেদন ফি জমা দিয়ে সর্বনিম্ন পাঁচটি ও সর্বোচ্চ ১০টি কলেজ বা সমমানের প্রতিষ্ঠানের জন্য পছন্দক্রমের ভিত্তিতে আবেদন করা যাবে।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এইচএস/কেএস