ঢাকা : বহুল আলোচিত বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই ছাত্রীর সম্ভ্রমহানীর মামলায় সিলেট থেকে গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছে আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ। দিলদার আহমেদের একটি বিলাসবহুল মার্সিডিজ বেঞ্জ গাড়ি সিলেট থেকে জব্দ করেন শুল্ক গোয়েন্দারা।
রাজধানীর বনানীর রেইনট্রি হোটেলে দুই বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী সম্ভ্রমহানীর ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ওই গাড়িতে করেই সিলেটে পালিয়েছিলেন সাফাত আহমেদসহ চার আসামি। শুল্ক গোয়েন্দাদের অনুসন্ধানে এমন তথ্যই পাওয়া গেছে। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, গাড়িটি সিলেটের সাফাতের মামা খলিলুর রহমান মাসুমের বাড়ি সিম্ফনি হাইট থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। বনানীর ঘটনায় মামলা হওয়ার পর ওই গাড়িতে করেই ঢাকা থেকে সিলেটে গিয়েছিল সাফাতরা।
প্রাথমিক তথ্যে দেখা গেছে, গাড়িটির মালিক দিলদার আহমেদ আর ব্যবহারকারী সাফাত আহমেদ। এটি শুল্ক ফাঁকি দিয়ে চট্রগ্রাম বন্দর থেকে খালাস হয়েছিল। চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউস থেকে গাড়িটির শুল্ক ফাঁকির দায়ে দাবিনামা জারি করা হয়েছে আগেই।
শুল্ক গোয়েন্দা ও তদন্ত অধিদফতরের মহাপরিচালক (ডিজি) ড. মঈনুল খান বলেন, সুনির্দিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ২৩ মে মঙ্গলবার সকাল ১১টায় সিলেট থেকে একটি মার্সিডিজ গাড়ি উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে জানা যায় এটি আপন জুয়েলার্সের মালিকের গাড়ি। আমরা গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন ও এ্যাকচ্যুয়াল মেনুফেকচারিং ডেটে একটা গ্যাপ পেয়েছি।
তিনি বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে জানা যায়, চেসিস নম্বর অনুযায়ী গাড়িটি তৈরি ২০০২ সালে। কিন্তু রেজিস্ট্রেশন কাগজপত্রে এই সাল উল্লেখ আছে ২০১১। বিদ্যমান আমদানি নীতি আদেশ অনুযায়ী ৫ বছরের পুরনো গাড়ি আমদানি নিষিদ্ধ। এছাড়া চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউসের নথি পর্যালোচনা করে দেখা যায় বিল অব এন্ট্রি নং ৬৭৪৬৮ (২৫/০৫/২০১১) এর মাধ্যমে খালাসকৃত ৭টি গাড়িতে মোট ৯৩.৫ লাখ টাকা ফাঁকি দেয়া হয়েছে। আটক গাড়িটি ওই ৭টির একটি। গাড়িটিতে প্রায় ১৫ লাখ টাকা ফাঁকি দেয়া হয়েছে।
শুল্ক গোয়েন্দা সূত্রে জানা যায়, গাড়িটির আনুমানিক মূল্য এক কোটি পঞ্চাশ লাখ টাকা। এটির রেজিষ্ট্রেশন নম্বর: ঢাকা-মেট্রো গ ৩১-৮৮৫৬, চেসিস নম্বর: WDD2120472A444396, ইঞ্জিন নম্বর: 27186030241669, সিসি: 1796, মডেল-2011 (ফিটনেস সনদ অনুযায়ী)।
২৪ মে, ২০১৭/এমটিনিউজ২৪ডটকম/এসএস