শুক্রবার, ২৬ মে, ২০১৭, ০২:৪২:৩০

কারাগারে নাঈমকে দেখেই ক্ষেপে যান সাফাত, গলা চেপে ধরেই চড় থাপ্পড়

 কারাগারে নাঈমকে দেখেই ক্ষেপে যান সাফাত, গলা চেপে ধরেই চড় থাপ্পড়

নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর বনানী রেইনট্রি হোটেলে নির্যাতন মামলার প্রধান দুই আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিকের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু নাঈম আশরাফ কারাগারে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়েছেন বলে জানা গেছে।  কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।  বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নাঈম আশরাফকে কারাগারে নিয়ে আসা হয়।

এরপর সারারাত অনান্য হাজতী ও কয়েদীদের সঙ্গে আমদানী সেলে কাটাতে হয়।  শুক্রবার সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে কারা কর্তৃপক্ষের সব নিয়ম-কানুন সম্পর্কে জানানো হয়। নাম ঠিকানা, ছবি তুলে তাকে সাফাত ও সাদমানের সঙ্গে একই সেলে থাকবে কিনা সেটি জানতে চান একজন ডেপুটি জেলার।

তারপর নাঈম আশরাফকে সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে শাপলা ভবনে নিয়ে যাওয়া হয়।  এসময় তাকে দেখেই ক্ষেপে যান সাফাত আহমেদ।  নাঈম আশরাফের গলা চেপে ধরে ইংরেজি গালি দিয়ে (প্রকাশ অযোগ্য) চড় থাপ্পড় মারতে শুরু করে।  এসময় কারারক্ষীরা এবং সাদমান দুজনকে আলাদা করে ফেলেন।  এরপরও নাঈম সেখানেই থাকবে বলে কারা কর্তৃপক্ষকে জানান।  কিন্তু দুজনকেই সাবধান করে দেয়া হয়েছে।

এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে নাঈম জবানবন্দি দেয়। এ নিয়ে এ মামলার এজাহারভুক্ত পাঁচ আসামির মধ্যে চার আসামিই আদালতে জবানবন্দি দিল।

মামলার প্রধান আসামি সাফাত আহমেদের বন্ধু নাঈম আশরাফ স্বীকার করে, তারা দুজন হোটেলের দুটি কক্ষে আটকে ওই দুই তরুণীকে নির্যাতন করে।  অন্য তিন আসামি তাদের সহযোগিতা করে।  পরে নির্যাতনের ঘটনা প্রকাশ না করার জন্য ওই দুই তরুণীকে ভয়ভীতি দেখানোর কথাও স্বীকার করে নাঈম।

মামলার সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানায়, এর আগে অন্য তিন আসামি সাফাত, সাদমান ও বিল্লালের স্বীকারোক্তির সঙ্গে নাঈমের স্বীকারোক্তির মিল রয়েছে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে