সামস তাব্রীজ: সুপ্রিম কোর্টের মূল ফটকের সামনে ও জাতীয় ঈদগাহ এর দেয়াল ঘেসে যে গ্রিক দেবীর মূর্তি ছিলো তার বিরুদ্ধে আমাদের চলমান আন্দোলন। এই থেমিস দেবীর মূর্তি অপসারনের দাবীটি শুধু হেফাজত বা ইসলামী দলের ছিলো না। এই দাবী এবং ইচ্ছা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ছিলো। রাষ্ট্রের আইন শৃংখলা এবং দেশের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার জন্য এই মূর্তিটি অপসারণ অপরিহায ছিলো।
শনিবার রাতে সময় টিভির সম্পাদকীয় অনুষ্ঠানে এমন মন্তব্য করেন হেফাজতে ইসলামের যুগ্ম মহাসচিব মুফতি ফয়জুল্লাহ অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন।
মুফতি ফয়জুল্লাহ আরো বলেন, মানুষ এই দেবীর মূর্তি অপসারণের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ অবস্থান গ্রহণ করে ছিলো। এই মৃণাল হক ও তার সাথে কাজ করা লোকেরা যারা মূর্তি স্থাপণের সাথে জড়িত ছিলেন তারা সবাই রাতের অন্ধকারে হাজার হাজার বাঙ্গালীর বুকে ছুরি চালিয়েছে। এখন প্রধানমন্ত্রীর ইচ্ছায় হোক আর অনইচ্ছায় হোক প্রধান বিচারপতির নির্দেশে ভাস্কর্যটি সুপ্রিম কোর্টে সামনে থেকে সরিয়ে ফেলা হয়েছে। মৃণাল হক কোথা থেকে এসেছে তিনি কি বাংলাদেশ কে একটি অপনিবেশি রাষ্ট্র তৈরি করতে চায়? এটার জন্য কোন দরপত্র করা হয়নি কোন কমিটি করা হয়নি এটা নিয়ে কোন কথা হয়নি মৃণাল হক চাইলেন আর বাংলাদেশের বুকের উপরে নিবার্হী বিভাগের উপরে সে চাইলো আর একটি মূর্তি স্থাপন করলো। গত ২৫ তারিখ অপসারণ করা হয়েছিলো আর এই বাংলাদেশ কে অভিষাপ মুক্ত করা হলো আর এই অভিষাপ মুক্তির পরে বাংলাদেশে প্রচন্ড তাপের মধ্যে বৃষ্টির রহমত আল্লাহ আমাদের কে দিয়েছে।
তিনি আরো বলেন, দেশের মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার সর্বোচ্চ স্থান সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে কথিত ন্যায়ের প্রতীক নগ্ন-অশ্লীল দেবী থেমিসের মূর্তি স্থাপন হচ্ছে চরম ধৃষ্টতা এবং রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের অবমাননা। স্বাধীন জাতি হিসেবে আমাদের নিজস্ব ইতিহাস, কৃষ্টি-সংস্কৃতি ও আত্মমর্যাদাবোধেরও সম্পূর্ণ বিপরীত ও সাংঘর্ষিক। গ্রিক দেবীর মূর্তি নয়, মুসলমানদের জন্য ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার প্রতীক হলো মহাগ্রন্থ পবিত্র আল কোরআন। মহান আল্লাহর মনোনীত ধর্ম ইসলামে মূর্তি স্থাপন হারাম।-আমাদের সময়
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস