নিউজ ডেস্ক : ঢাকাকে রক্ষা করতে সারা দেশ থেকে রাজধানীমুখী মানুষের স্রোত থামাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিশেষ অনুরোধ করেছেন জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির সিনিয়র কো-চেয়ারম্যান রওশন এরশাদ। বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে তিনি এ অনুরোধ জানান।
রওশন এরশাদ প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে বলেন, ৮টি বিভাগে হাইকোর্টের বেঞ্চ (ডিভিশন) আপনি দিয়ে দেন। এখন তো শিক্ষা বোর্ড দিয়ে দিয়েছেন। আপনি ঢাকাকে বাঁচান। আপনি চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবেন। তিনি বলেন, প্রতিদিন ৯৬০ জন লোক ঢাকায় আসছে। ঢাকাকে বাঁচাতে চাইলে ছোট ছোট কলকারখানা করে দিন, যাতে যেখান থেকে লোকজন আসছে সেখানে ফিরে যেতে পারে।
একটি প্রতিবেদনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ঢাকা যখন তিলোত্তমা শহর ছিল তখন কলকাতা নোংরা শহর ছিল। এখন কলকাতা তিলোত্তমা, ঢাকা নোংরা। লোকজন কাজের সন্ধানে স্রোতের মতো ঢাকা আসছে। ঢাকায় তারা বস্তির মতো ঘরে ১০/১২ জন ঠাসাঠাসি করে থাকে। যেমন করে হোক ঢাকাকে বাঁচাতে আপনি (প্রধানমন্ত্রী) চেষ্টা করেন।
বিরোধীদলীয় নেতা বলেন, রাজধানীর রাস্তাগুলো ড্রেনের নামে খোঁড়াখুঁড়ি হচ্ছে। বৃষ্টিতে মানুষজন চলতে পারছে না। গাড়ি চলতে পারছে না। স্কুলে যেতে পারছে না। বৃষ্টি হচ্ছে অতিরিক্ত, ড্রেনেজ সিস্টেম ভালো না হওয়ায় পানি জমে যাচ্ছে।
এ ব্যাপারে সঠিক ব্যবস্থা নেয়ার অনুরোধ করছি। তিনি বলেন, দেশে বর্জ্যরে সুষ্ঠু ব্যবস্থা এখনও গড়ে ওঠেনি। ইলেকট্রুনিক বর্জ্য হচ্ছে সবচেয়ে ভয়াবহ। এটার ঝুঁকি বেশি। মেডিকেল বর্জ্য অপসারণে কোনো ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি। রওশন এরশাদ বলেন, দেশে সবাই মোবাইল ব্যবহার করছে। যে দেশ মোবাইল বিক্রি করছে তাদের উচিত অকেজো মোবাইল নিয়ে যাওয়া। কিন্তু আমাদের দেশে এ আইন নেই। ভিশন ২০২১ ও ২০৪১ বাস্তবায়ন করতে গেলে এগুলো আমাদের চিন্তা করতে হবে। আমি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে বিশেষভাবে অনুরোধ করব।
দেশে ৩০০ নদী আছে উল্লেখ করে রওশন এরশাদ বলেন, এই নদীগুলো আমরা দূষিত করে ফেলেছি। অনেকগুলো নদী আমরা নষ্ট করে ফেলছি। নদীগুলোকে যদি বাঁচানো না যায়, আর গাছপালা বাঁচানো না গেলে মানুষ বাঁচবে না। সিটি কর্পোরেশন ড্রেন বানানোর জন্য গাছ কাটছে। তিনি বলেন, গাছ কেটে ফেললে ঢাকার মানুষ অক্সিজেন কোথায় পাবে?
এমটিনিউজ২৪/টিটি/পিএস