ঢাকা : বিরল রোগে আক্রান্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন মুক্তামনির জন্য চকলেট পাঠালেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জানালেন ঢামেকের বার্ণ ও প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে বার্ন ইউনিটে গিয়ে মুক্তামনির হাতে চকলেট তুলে দেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পরিচালক ডা. জুলফিকার লেনিন।
এছাড়া মুক্তামনিকে খেলনা কিনে দেয়ার জন্য তার বাবা ইব্রাহিমের হাতে প্রধানমন্ত্রীর দেয়া নগদ ১০ হাজার টাকাও তুলে দেয়া হয়।
সামন্ত লাল বলেন, বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দেখা করে এসেছি। মুক্তামনির পুরো বিষয় তাকে অবহিত করেছি। শনিবার অপারেশনের বিষয়ে দোয়াও চেয়েছি, যাতে করে আমরা সফল হতে পারি।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যস্ত থাকায় আসতে পারেননি। তাই প্রতিনিধি হিসেবে কার্যালয়ের পরিচালক ডা. জুলফিকার আলীকে পাঠিয়েছেন। সঙ্গে নিয়ে এসেছেন চকলেট। রাত বেশি হওয়ায় খেলনা না পেয়ে মুক্তামনির বাবার কাছে নগদ ১০ হাজার টাকা দিয়ে গেছেন।
সাতক্ষীরার সদর উপজেলার কামারবায়সা গ্রামের মুদি দোকানি ইব্রাহীম হোসেনের মেয়ে মুক্তামনি (১২)। জন্মের দেড় বছর পর হাতে একটি ছোট মার্বেলের মতো গোটা দেখা দেয়। এরপর থেকে সেটি বাড়তে থাকে। দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়েও তার কোনো চিকিৎসা হয়নি। তার আক্রান্ত ডান হাত এখন ছোট আকারের গাছের গুড়ির রূপ নিয়ে প্রচণ্ড ভারী হয়ে উঠেছে। এতে পচনও ধরেছে। পোকাও জন্মেছে।
সম্প্রতি মুক্তামনির এ বিরল রোগ নিয়ে দেশের বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপরই তাকে ঢাকায় পাঠিয়ে সরকারি ব্যবস্থাপনায় চিকিৎসার উদ্যোগ নেয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গেলো ১১ জুলাই মুক্তামনিকে ঢাকা মেডিক্যালের বার্ন ইউনিটে ভর্তি করা হয়। বর্তমানে সে ৬০৮ নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটের অপারেশন থিয়েটারে শনিবার (৫ আগস্ট) তার বায়োপসি সম্পন্ন হয়। বায়োপসি রিপোর্টে তার রক্তনালীতে টিউমার ধরা পড়ে। শনিবার ১২ আগস্ট তার মূল অপারেশন হওয়ার কথা।
এমটিনিউজ২৪ডটকম/এইচএস/কেএস