নিউজ ডেস্ক : রাজধানীতে সোমবার সকালে যেন নেমে এসেছিল সন্ধ্যা। আকাশ জুড়ে ছিল কালো মেঘে ঢাকা। সকাল ৭টা বাজতে না বাজতেই শুরু হয় মুষল ধারে বৃষ্টি এবং বজ্রপাত। টানা এক ঘণ্টার চলে ভারী বৃষ্টিপাত। সকাল থেকে শুরু হওয়া বৃষ্টিতে সমস্যায় পড়েন অফিসগামী লোকজন। ভারী বর্ষণের কারণে রাজধানীর বেশির ভাগ এলাকায় পানি জমে গেছে। প্রধান প্রধান সড়কগুলোতেও পানি জমে যাওয়ায় যানবাহন চলছে ধীরগতিতে। জলজটের কারণে রাস্তায় গাড়ির দীর্ঘ সারি পড়ে গেছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে লোকজনকে। পানির কারণে হেঁটে যাওয়ারও কোনও উপায় নেই। তাই বাধ্য হয়েই গাড়িতে বসে থাকতে হচ্ছে।
বৃষ্টিতে রাস্তায় যানজট
এরই মধ্যে ধানমন্ডি ২৭ এ পানি জমে গেছে। সাভার, গাবতলী হয়ে আসা গাড়িগুলো রাস্তায় ঘণ্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে আছে। এই যানজটের মধ্যে অফিস যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন ব্যাংক কর্মকর্তা গোলাম রাব্বি। তিনি বলেন, ‘আমি কলেজ গেটে এতক্ষণ মানে ১ ঘণ্টা দাঁড়িয়ে ছিলাম। কোনও যানবাহন পায়নি। ভিজে যাওয়ায় এখন বাসায় ফিরে যাচ্ছি। আমার মতো অনেকেই সকাল ৮টা থেকে গাড়ির জন্য দাঁড়িয়ে ছিলেন। এই জলজটের মধ্যে অফিসের গাড়ি কয়টায় আসবে তার ঠিক নাই।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের তবু অফিসের গাড়ি আছে, সাধারণ যাত্রীরা তো গাড়িই পাচ্ছেন না। ভিজছে, এত বৃষ্টি যে ছাতায় ও কাজ হচ্ছে না।’
গোলাম রাব্বি বলেন, ‘যে কোনও ভাবে অফিস করতে হবে। ছাতা আছে তারপরও পুরো ভিজে গেছি। কী করার এভাবে অফিস করতে হবে। শহরটাকে ঠিক করতে হবে।’
শংকরের বাসা থেকে অফিসের গাড়ির জন্য বের হয়ে ১০ মিনিট অপেক্ষা করতেই পুরো ভিজে গেছেন বলে জানান সায়ান। তিনি বলেন, ‘অসহনীয় হয়ে উঠছে পরিস্থিতি। আমাদের কারুরই মাথা ব্যাথা নাই। অফিসের জন্য বের হলাম। ভিজে একবার পোশাক চেঞ্জ করে আবারও আসলাম। ল্যাপটপ ভিজে একাকার।’
ভারী বৃষ্টিতে মিরপুরের বিভিন্ন এলাকায় পানি জমে গেছে। কোথাও হাঁটু পানি, আবার কোথাও কোমর পানি জমে আছে। কালশীর দোকানি রহমান বলেন, ‘পুরা বর্ষা ব্যবসা বলতে গেলে বন্ধ। ঈদের পর কাল দোকান খুলে দুপুরে বন্ধ করতে বাধ্য হইসি। আজকে যে অবস্থা তাতে সারাদিনইই বন্ধ রাখতে হবে।’
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস