নিউজ ডেস্ক : জমজ বাচ্চার একজনকে পেটে রেখেই সেলাই করে অস্ত্রোপচার শেষ করার ঘটনায় হাইকোর্টের তলবে হাজির হয়ে অস্ত্রোপচার করা ডাক্তার আদালতে বললেন, আমি ‘কনফিডেন্ট’ ছিলাম তাই ওই অস্ত্রোপচার করেছি।
এসময় বেঞ্চের জেষ্ঠ বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী তাকে বলেন, আপনি ‘কনফিডেন্ট’ থাকলেন কিন্তু এতো কিছু হয়ে গেল! আমাদের এত ‘কনফিডেন্ট’ মানুষের চেয়ে দক্ষ চিকিৎসক দরকার।
হাইকোর্টের তলবে কুমিল্লার সিভিল সার্জন, অস্ত্রপচারে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার হোসনে আরা বেগম এবং লাইফ হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিক মঙ্গলবার আদালতে হাজির হলে এ বিষয়ে শুনানিতে এসব কথা হয়।
এরপর আদালত এ বিষয়ে পরবর্তি শুনানির জন্য ১৬ নভেম্বর দিন ধার্য করেন। ওই দিন ডাক্তার হোসনে আরা বেগম এবং লাইফ হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিকে আদালতে হাজির থাকতে বলা হয়েছে। তবে কুমিল্লার সিভিল সার্জনকে ব্যক্তিগত হাজিরা থেকে অব্যাহতি দেয়া হয়।
একই সঙ্গে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের কাছে থাকা এ সংক্রান্ত তদন্ত প্রতিবেদন ১৫ তারিখের মধ্যে আদালতে দাখিল করতে বলা হয়।
খাদিজা নামের একজন মহিলার জমজ বাচ্চার একজনকে পেটে রেখেই সেলাই করে অস্ত্রোপচার শেষ করার ঘটনায় গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন গত ২৯ অক্টবর আদালতের নজরে আনেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. মাহফুর রহমান মিলন।
এরপর বিচারপতি সালমা মাসুদ চৌধুরী ও বিচারপতি একে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ কুমিল্লার সিভিল সার্জন, অস্ত্রোপচারে সংশ্লিষ্ট ডাক্তার হোসনে আরা বেগম এবং লাইফ হসপিটাল এন্ড ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের মালিককে ৭ নভেম্বর আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেন।
গত ২১ অক্টোবর আলট্রাসনোগ্রাফিতে ধরা পড়ে খাদিজার একটি বাচ্চা পেটে মৃত অবস্থায় রয়েছে। এ অবস্থায় দ্রুত তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে প্রফেসর ডা. নিলুফার সুলতানার তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচার করে খাদিজার মৃত বাচ্চাটি পেট থেকে বের করা হয়।
ব্যথা ও ভারি পেট নিয়ে খাদিজা হাস্পাতালে ভর্তি হওয়ার পর পরীক্ষা করে দেখা যায়, ৩৫ দিন আগে তার একটি অস্ত্রোপচার হয়েছে। জরুরি বিভাগে ভর্তির পর ডাক্তাররা জানতে পারেন, খাদিজা দাউদকান্দির একটি ক্লিনিকে সুস্থ বাচ্চার জন্ম দেন। তবে এরপর থেকেই তার পেটে ব্যথা ও পেট ভারী হতে থাকে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস