নিউজ ডেস্ক : এদেশ কারো পৈতৃক সম্পত্তি নয়। ভুলে গেলে চলবে না ২০১৪ সালের বিএনপি এখন আর নেই। আত্মসমর্পণ করার চেয়ে পরাজয় বরণ করাই শ্রেয়। সুতরাং শেষ যুদ্ধের জন্য সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। ডাক আসা মাত্রই মাঠে নামতে হবে। মনে রাখতে হবে মাইরের উপর কোনো ওষুধ নাই। লড়াই করেই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হবে।
বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়।
শনিবার বিকেলে নগরের দরগাহ গেটস্থ শহিদ সুলেমান হলে সিলেট মহানগর বিএনপি আয়োজিত কর্মীসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বিএনপি শতভাগ গণতান্ত্রিক ও নির্বাচনমুখী দল। আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি অবশ্যই অংশ নেবে, তবে শেখ হাসিনার অধীনে নয়। তিনবারের সাবেক সফল প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়াকে মাইনাস করে কোনো নির্বাচন এ দেশে হতে দেয়া হবে না।
গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা পুনর্বহাল করে মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করেই আমরা নির্বাচনে যাব। আমরা সে লক্ষ্যেই এগিয়ে যাচ্ছি। আমাদের বিজয় অতি সন্নিকটে।
তিনি বলেন, অবৈধ সরকারের পায়ের তলায় মাটি নেই। যতই হুমকিধমকি এবং ষড়যন্ত্র হোক না কেনো আমরা গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করেই ছাড়ব। জনগণ প্রস্তুত রয়েছে। নেতাকর্মীরা মাঠে নামলেই বিজয় সুনিশ্চিত।
সিলেট মহানগর বিএনপির সভাপতি নাসিম হোসাইনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক বদরুজ্জামান সেলিমের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত কর্মীসভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা তাহসীনা রুশদীর লুনা, আলহাজ এম. এ হক, খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির, বিএনপির কেন্দ্রীয় সিলেট বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. সাখাওয়াত হাসান জীবন, ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, সিলেট বিভাগীয় সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি দিলদার হোসেন সেলিম, সহসাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন।
এছাড়া বক্তব্য রাখেন- বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সাবেক এমপি আলহাজ শফি আহমদ চৌধুরী, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও মহানগর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিলেট জেলা সভাপতি আবুল কাহের চৌধুরী শামীম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী ও সিলেট জেলা সাধারণ সম্পাদক আলী আহমদ।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস