শনিবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০১৮, ০৬:১৮:৫৬

হাতি নিয়ে চাঁদাবাজি, অসহায় সাধারণ মানুষ!

হাতি নিয়ে চাঁদাবাজি, অসহায় সাধারণ মানুষ!

নিউজ ডেস্ক: রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় হাতি নিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনা বেশ পুরনো। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে সেই চাঁদাবাজি ভয়ংকর পরিস্থিতিতে রূপ নিয়েছে। চাহিদা মতো টাকা না দিলে রীতিমতো হাতির শুঁড় দিয়ে আছাড় দেয়ার প্রকাশ্য হুমকিও দিচ্ছেন মাহুত। নিজ চোখে সব কিছু দেখেও অনেকটা নীরব থাকতে দেখা গেছে পুলিশকে।

শনিবার সকালে রাজধানীর ব্যস্ত সড়ক বীর উত্তম সি আর দত্ত সড়কে শুরু হয় হাতি দিয়ে চাঁদাবাজি। সার্ক ফোয়ারা মোড় থেকে একজন মাহুত টাকা তুলতে তুলতে ইস্টার্ন প্লাজার দিকে যাচ্ছিলেন। কিছুদিন পরপরই এ এলাকার দোকানদারকে চাঁদা দিতে হয় ওই হাতিকে। কিন্তু আজ এক দোকানিকে খুব বিমর্ষ লাগছিল। কারণ জানতে চাইলেই তিনি বলেন, আগে সবসময় আমরা দোকানপ্রতি ২০ টাকা করে দিতাম। কিন্তু এখন আর টাকার এ অঙ্কে কাজ হচ্ছে না। আরও বেশি টাকা দাবি করছেন মাহুত। দিনে দিনে হাতির অত্যাচার আরও বাড়ছে।

তার এমন তথ্যের পর ওই হাতি ও মাহুতের ওপর চোখ রেখে যা দেখা গেল, মাহুত শুধুমাত্র দোকান, পথচারী এবং গাড়ি থেকে টাকাই তুলছেন না বরং চাহিদা মতো টাকা না দিলে হাতির শুঁড় দিয়ে আছাড় মারার হুমকিও দিচ্ছেন। এক প্রাইভেটকার চালক টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানানোয় হাতিতে থাকা মাহুত বলেন, টাকা না দিলে পথ ছাড়া হবে না। পরবর্তীতে আরও চটে গিয়ে মাহুত বলেন, আমাকে ক্ষ্যাপালে শুঁড় দিয়ে গাড়ির কাচ ভেঙে দিব।

মাত্র এক ঘণ্টার ব্যবধানে ওই হাতিটিকে ব্যবহার করে প্রায় দুই হাজার টাকা তুললেন তিনি। এরইমধ্যে জনতা বিষয়টি সেখানে অবস্থানরত দুই পুলিশ সদস্যের নজরে আনলেও তারা কোনো প্রতিবাদ না করে চলে যান।

পরবর্তীতে বিষয়টি ঘটনাস্থলে থাকা পূর্ব ধানমন্ডি পুলিশ ফাঁড়ির উপ-পরিদর্শক মো. জাহাঙ্গীরের নজরে আনলে তিনি হাতিটিকে থামাতে উদ্যোগ নেন। তিনি মাহুতকে কয়েকবার হাতি থেকে নামতে বলেও কথা শোনাতে পারেননি। পরবর্তীতে তাকে হাতি নিয়ে এলাকা ছাড়ার নির্দেশ দেন।

তবে কিছু দূর এগিয়ে গিয়ে ওই মাহুতকে আবারও চাঁদাবাজি শুরু করতে দেখা যায়। ঘটনাস্থলে থেকেও চাঁদাবাজি বন্ধ করতে না পারলেও পরবর্তীতে এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানান ওই পুলিশ সদস্য।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে