নিউজ ডেস্ক: চা-দোকানের চেয়ারে বসা নিয়ে গত রাতে ঢাবির এস এম হল ছাত্রলীগ এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ডা: ফজলে রাব্বি হল ছাত্রলীগের সংঘর্ষে সাংবাদিক, পুলিশ অফিসার ও এক ছাত্রলীগ নেতাসহ ১১ জন আহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজনের অবস্থা গুরুতর বলে জানা গেছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাত ১০টায় বকশিবাজার মোড়ে পোনাং রেস্টুরেন্টে বোনকে নিয়ে খেতে যায় ছাত্রলীগ কর্মী মানিক। বোন হাত ধোয়ার জন্য বেসিনে গেলে তার চেয়ারে এসে বসে পড়ে এস এম হল ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসান তাপসের অনুসারী এক ছাত্রলীগ কর্মী। বোন এসে তাকে চেয়ার থেকে উঠতে বললে সে বেঁকে বসে।
এ নিয়ে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সে মানিককে মারধর করে। মানিক ডা: ফজলে রাব্বি ছাত্রাবাসে এসে সেখানকার ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক শেখ মো: আল-আমীনকে ঘটনা জানায়। আমীন তার দলবল নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে এস এম হল ছাত্রলীগ কর্মীকে মারধর করে। অন্য দিকে এ খবর ছড়িয়ে পড়লে এস এম হল থেকে ছাত্রলীগ কর্মীরা এসে সেখানে পাল্টা মারধর করে।
এ নিয়ে দ্বিতীয় দফা সংঘর্ষ বাধে। একপর্যায়ে এসএম হলের তিন ছাত্রলীগ কর্মীকে আটকে রাখা হয়। এ ঘটনার জের ধরে রাত ১২টায় আবার উভয় পক্ষে সংঘর্ষ হয়। এ সময় ঘটনার খবর সংগ্রহে আসা যমুনা টিভির ক্যামেরাপারসন আবদুল লতিফকে মারধর করা হয় এবং তার ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়া হয়। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সেখানে উত্তেজনা চলছিল।
এ ঘটনায় দায়িত্ব পালনকালে চকবাজার থানার সাব-ইন্সúেক্টর সেলিম গুরুতর আহত হন। এ ছাড়া আল-আমীন গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ খান মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ঘটনা তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেয়া হবে বলে আশ্বাস দেন।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস