সোমবার, ২৯ জানুয়ারী, ২০১৮, ১১:৩৪:১২

প্রেমের টানে ৩ সন্তানের জননী একি কাণ্ড করলেন!

প্রেমের টানে ৩ সন্তানের জননী একি কাণ্ড করলেন!

ঢাকা: প্রেমের টানে ৩ সন্তানের জননী একি কাণ্ড করলেন! প্রেম মানে না জাত কুল। অবশেষে প্রেমিক জুটির ঠাঁই হল শ্রীঘরে। প্রেমের টানে ঢাকার সুন্দরী গোলাপগঞ্জে। পুরান ঢাকার মেয়ে সীমা সিংহ (৩৫)। নতুন বছরের শুরুতে স্ব-পরিবার নিয়ে এসেছিলেন সিলেটের হযরত শাহজালালের মাজারে। ঐ দিন সেখানেও গিয়েছিলেন গোলাপগঞ্জ ঢাকাদক্ষিণের যুবক বদরুল ইসলাম (৩০)।

সেখানে একে অপরকে ভাল লাগে। এসময় গোলাপগঞ্জের যুবক বদরুল সীমা সিংহকে তার মোবাইল নাম্বারটি কৌশলে দিয়ে দেন। পরে বদরুল মাজার জিয়ারত শেষে চলে আসেন এবং সীমাও তার স্ব-পরিবার নিয়ে ঢাকায় চলে যায়। কিন্তু সুন্দরী সীমা সিংহ বিবাহিতা। তারপর আবার ৩ সন্তানের জননী। বড় মেয়ে এবারের এইচ এসসি পরীক্ষার্থী। একটি ছেলে সেখানকার একটি স্কুলের ২য় শ্রেণীর ছাত্র। আরেকটি ছেলের বয়স প্রায় ৪বছর হবে।

৩ সন্তানের জননী সুন্দরী সীমা সিংহ সেখানে গিয়েই গোলাপগঞ্জের বদরুলের দেয়া মোবাইল নাম্বারে ফোন দেন। গোপনে শুরু হয় ৩৫ বছরের সুন্দরীর প্রেম’আলাপ। প্রায় ১মাসের মাথায় গত বুধবার পুরান ঢাকা এলাকার খোকন চন্দ্র সিংহের স্ত্রী ৩ সন্তানের জননী সীমা সিংহ বদরুলের প্রেমের ডাকে সাড়া দিতে সিলেটের গোলাপগঞ্জে চলে আসে। আর গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিণ ইউপির রায়গড় গ্রামের মৃত ইরফান আলীর পুত্র বদরুল ইসলামও তার প্রেমের ডাকে সাড়া দিতে তার বাড়ীতে তুলে।

গোলাপগঞ্জ থানা পুলিশ জানায়,সুন্দরী সীমাকে না পেয়ে তার পরিবারের লোকজন ঢাকা কতোয়ালী থানায় গত বৃহস্পতিবার একটি সাধারণ ডায়েরী করে তার স্বামী খোকন চন্দ্র সিংহ। এ দিকে গতকাল রবিবার মোবাইলে সীমার অবস্থান সিলেটের গোলাপগঞ্জে নিশ্চিত হয়ে ঢাকাদক্ষিন অপু ভিলায় সীমার পরিবারের লোকজন তাকে নিতে আসেন। এ সময় বিষয়টি স্থানীয়ভাবে জানাজানি হলে স্থানীয় ইউপি সদস্যসহ এলাকাবাসী জড়ো হন। তখন বদরুল ও সীমার পরিবারের লোকজনের মধ্যে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হয়। পরে থানা পুলিশ খবর পেয়ে প্রেমিক যুগলকে থানায় নিয়ে আসে।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সীমা জানায় বদরুল ও সীমা দু’জনে স্বামী স্ত্রী দাবি করে। সে নোটারী পাবলিক এর মাধ্যমে ইসলাম ধর্ম গ্রহন করে সীমা সিংহ নাম পরিবর্তন করে সীমা ইসলাম রাখে। বদরুলকে ছেড়ে পরিবারের সাথে যেতে সীমাকে বারবার অনুরোধ করে তার পরিবারের লোকজন। কিন্তু সুন্দরী সীমা সিংহ যেতে চাইছে না। থানা পুলিশের হাতে প্রেমিক যুগল আটকের পর সীমা সিংহকে খুব হাসি খুসিতে দেখা যায়। তখন প্রেমিক বদরুল ছিলেন থানার লকাপে।

এব্যাপারে গোলাপগঞ্জ মডেল থানার ওসি একেএম ফজলুল হক শিবলীর সাথে আলাপ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন বিষয়টি পারিবারিকভাবে সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে সীমা তার পরিবারের সাথে যেতে একবার রাজি হয় একবার রাজি হয়না। আজ সোমবার তাদের উভয়কে যার তার মত ছেড়ে দেওয়া হবে।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে