ঢাকা: দুর্নীতির মামলায় রায় শুনতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া আদালতে যাওয়ার সময় ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা’ হামলা করেছিল বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় বিএনপি নেত্রীর পাঁচ বছরের সাজা ঘোষণার পর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল এই অভিযোগ করেন।
বিএনপি নেতার অভিযোগ, এই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা’ গোটা শহরে ত্রাসের রাজস্ব কায়েক করেছে।
বেলা পৌনে ১২টার দিকে রায় শুনতে গুলশানে নিজ বাসভবন থেকে গাড়ি বহর নিয়ে রওয়ানা হন খালেদা জিয়া। তিনি মগবাজার ফ্লাইওভার হয়ে বকশিবাজারে আদালত এলাকায় যাবেন বলে ধারণা করেছিল পুলিশ। আর এই পথের নিরাপত্তায় ব্যাপক ব্যবস্থা নেয়া হয়।
কিন্তু খালেদা জিয়া উড়ালসড়ক ধরে না গিয়ে নিচের রাস্তা ধরে এগিয়ে যান। এ সময় এফডিসি মোড়ের আগে বিএনপির নেতা-কর্মীরা তার গাড়িবহরকে কেন্দ্র করে জড়ো হয়।
এতে খালেদা জিয়ার যাত্রায় বিলম্ব হয়। আর তিনি দুই ঘণ্টা পর বকশিবাজারে আদালতে গিয়ে উপস্থিত হন।
খালেদা জিয়ার উড়ালসড়কের নিচ দিয়ে আদালতে যাওয়ার সিদ্ধান্তে অপ্রস্তুত হয়ে যায় পুলিশ। তবে কিছুক্ষণের মধ্যে পুলিশ খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সামনে এগিয়ে যায়।
কিছুক্ষণ পর মগবাজার ও পরে কাকরাইল এলাকায় বিএনপির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়ার পাশাপাশি একটি গাড়ি ভাঙচুর করে বিএনপির নেতা-কর্মীরা।
তবে ফখরুল দাবি করেছেন, বিএনপির স্বতস্ফূর্ত ও শান্তিপূর্ণ বহরে আক্রমণ করেছে ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘স্বতস্ফূর্ত যে সমর্থক, কর্মীরা তার (খালেদা জিয়া) গাড়ির সঙ্গে আদালতে এসেছেন, তাদের ওপর আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা চড়াও হয়েছে। সারা শহরে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা মোড়ে মোড়ে পাহারা বসিয়েছে এবং তারা পুলিশের সহযোগিতায় তারা আক্রমণ করেছে।’
ফখরুল বলেন, ‘আজকে সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে দেশনেত্রী যখন তার বহর নিয়ে আদালতে আসছিলেন, এই রায়ের জন্য। আইনের প্রতি তিনি এতটাই শ্রদ্ধাশীল যে তিনি বারবার হাজিরা দিয়েছেন এবং এই রায়ের জন্য আজকে আদালতে এসেছেন।’
এই রায়কে কেন্দ্র করে সরকার একটি যুদ্ধাবস্থা তৈরি করেছে অভিযোগ করে ফখরুল বলেন, ‘সরকারই গোটা পরিবেশকে অস্থিতিশীল করেছে এবং রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাস করেছে।’
এমটি নিউজ/এপি/ডিসি