ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে ডিভিশনে পাঠানোর নির্দেশের কপি আদালত থেকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রোববার দুপুরে নির্দেশের কপি আদালত থেকে জেলগেটে নিয়ে যান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
এর আগে, আদালতের এ আদেশের পর রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।
এ সময় তিনি জানান, রায়ের কপি এখনও হাতে আসেনি। তাই খালেদা জিয়াকে সাধারণ বন্দির মতো রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কারাগার থেকেই খালেদা জিয়াকে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে শুষ্ক খাবার তাকে দেয়া হলেও বাইরের অন্য কোনো খাবার তাকে দেয়া যাবে না।
খালেদা জিয়ার জন্য ব্যক্তিগত কোনো সেবিকা রাখা না হলেও চিকিৎসার জন্য একজন নার্স রাখা হয়েছে বলে জানান আইজি প্রিজন্স।
খালেদা জিয়ার ডিভিশনের বিষয়ে আইজি প্রিজন্স উল্লেখ করেন, সাবেক প্রেসিডেন্টের ডিভিশন পাওয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ডিভিশন পাওয়ার বিষয়টি জেলকোডের কোথাও উল্লেখ নেই।
উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বৃহস্পতিবার বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার পাঁচ নম্বর বিশেষ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন।
এছাড়া একই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসনের ছেলে তারেক রহমান, সাবেক এমপি কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়।
একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা করে জরিমানা করেন আদালত।
রায়ের পর পরই খালেদা জিয়াকে আদালতের পাশে নাজিমউদ্দিন রোডের লালদালানখ্যাত ২২৮ বছরের পুরান ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০১৬ সালের ২৯ জুন থেকে ছয় হাজার ৪০০ বন্দিকে কেরানীগঞ্জের তেঘরিয়ার রাজেন্দ্রপুরের নতুন কারাগারে স্থানান্তর করে পুরান কারাগার বন্ধ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু দুই বছর চার মাস ১০ দিন পর দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে এই পরিত্যক্ত কারাগারেই দিন পার করছেন খালেদা জিয়া।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস