ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে শনিবার দিনগত রাতে নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেল সুপারের কক্ষ থেকে মহিলা ওয়ার্ডের দ্বিতীয় তলায় সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
রোববার দুপুরে এ কথা জানিয়েছেন কারা অধিদফতরের মহাপরিদর্শক (আইজি প্রিজন) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।
জানা গেছে, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হওয়ার সম্ভাবনাকে সামনে রেখে খালেদা জিয়া পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের তিনতলা মহিলা ওয়ার্ডের দ্বিতীয় তলার ডে-কেয়ার সেন্টারে রাখার প্রস্তুতি নেয় কারা অধিদফতর।
তবে গত বৃহস্পতিবার মামলার রায় ঘোষণার পর বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসার মাঠে স্থাপিত ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত থেকে খালেদা জিয়াকে নিয়ে পুরনো কারাগারের সিনিয়র জেল সুপারের পরিত্যক্ত কক্ষে রাখা হয়।
কিন্তু শুক্রবার খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন কারা কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ করে বলেন, খালেদা জিয়ার যেসব সুযোগ-সুবিধা পাওয়ার কথা তা সিনিয়র জেল সুপারের কক্ষে নেই। এ অভিযোগ পাওয়ার পর পরই খালেদা জিয়াকে ডে-কেয়ার সেন্টারে স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে কারা সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে শনিবার বিকালে কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ বলেন, খালেদা জিয়াকে একটি নির্জন ভাঙা বাড়িতে রাখা হয়েছে। উনার খাবারের ক্ষেত্রেও কোনো পরিবর্তন নেই। সাধারণ বন্দিরা যে খাবার পান, তাকেও সেই খাবার দেওয়া হচ্ছে। ম্যাডাম এসব খাবারে অভ্যস্ত নয়।
পরে রোববার সকালে খালেদা জিয়ার ডিভিশন চেয়ে বিশেষ জজ আদালত ৫-এ আবেদন করেন তার আইনজীবীরা।
এ আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান জেলকোড অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে কারা কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন।
আদালতের এ আদেশের পর রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে আসেন আইজি প্রিজন ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দিন।
এ সময় জানান, রায়ের কপি এখনও হাতে আসেনি। তাই খালেদা জিয়াকে সাধারণ বন্দির মতো রাখা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, কারাগার থেকেই খালেদা জিয়াকে খাবার সরবরাহ করা হচ্ছে। তবে শুষ্ক খাবার তাকে দেয়া হলেও বাইরের অন্য কোনো খাবার তাকে দেয়া যাবে না।
খালেদা জিয়ার জন্য ব্যক্তিগত কোনো সেবিকা রাখা না হলেও চিকিৎসার জন্য একজন নার্স রাখা হয়েছে বলে জানান আইজি প্রিজন্স।
খালেদা জিয়ার ডিভিশনের বিষয়ে আইজি প্রিজন্স উল্লেখ করেন, সাবেক প্রেসিডেন্টের ডিভিশন পাওয়ার কথা উল্লেখ থাকলেও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ডিভিশন পাওয়ার বিষয়টি জেলকোডের কোথাও উল্লেখ নেই।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস