মঙ্গলবার, ১৩ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮, ০৫:৩১:১২

দেখা পেলেন না খালেদার, ‘ক্ষোভে’ যা বললেন আব্বাসপত্মী

দেখা পেলেন না খালেদার, ‘ক্ষোভে’ যা বললেন আব্বাসপত্মী

ঢাকা :  নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশে দাঁড়িয়ে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে না পাড়ায় ‘ক্ষোভ প্রকাশ’ করলেন জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভাপতি ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের স্ত্রী আফরোজা আব্বাস।

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাথে দেখা করার জন্য অনুমিতির প্রয়োজন হলেও অনুমতি নেননি আব্বাসপত্মী।

আজ মঙ্গলবার দুপুর ২টা ২০ মিনিটে মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদসহ প্রায় ২৫-৩০ জন নারীকর্মী নিয়ে কারা ফটকে আসেন সভাপতি আফরোজা আব্বাস। এসময় নেত্রীদের হাতে ছিল ৩টি ফলের ঝুড়ি। এতে ছিল এক ডজন সপেদা, আপেল, আঙ্গুর, নাশপতি।

আফরোজা আব্বাসের সঙ্গে হেঁটে হেঁটে কারাগারের মূল ফটকের সামনে পৌঁছান নেত্রীরা। সামনে পুলিশের বাধা। বেরিকেডে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। ফিরিয়ে দেয় ফল।

দেখা পেলেন না খালেদার, ‘ক্ষোভে’ যা বললেন আব্বাসপত্মী :-  

প্রায় ২ মিনিটের মতো পুলিশের সঙ্গে কথাবার্তা বলে ফিরে নাজিমুদ্দিন রোডের দিকে যায় আফরোজা আব্বাসের দল। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। অভিযোগ করলেন, ‘মায়ের সঙ্গে দেখা করতে দেয়নি পুলিশ।’

বলেন, মা (খালেদা জিয়া) কারাগারে কেমন আছেন? কোনো যোগাযোগ করতে পারছি না। আমাদের যেতে দেয়া হলো না।’ এসময় আফরোজা আব্বাসের কাছে জানতে চাওয়া হয় তারা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করার কোনো অনুমতি চেয়েছিলেন কি-না? উত্তরে তিনি বলেন, ‘না আমরা কোনো অনুমতি নেইনি। অনুমতি নিতে যাবো।’

এর আগে শনিবার সকালে একইভাবে খালেদা জিয়াকে ফল দিতে যান মহিলা দলের নেত্রীরা। অনুমতি না থাকায় সেদিনও ফিরতে হয় তাদের। আজও অনুমতি নেননি তারা!

কারাগারের দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে, খালেদা জিয়া কোনো সাধারণ বন্দি না। কারাবিধি অনুযায়ী পরিবারের লোকজন কোনো খাবার আনলে পরীক্ষা করে সেগুলো আসামি বা কয়েদিকে খেতে দেয়া হয়। এছাড়াও আসামি বা কয়েদির সঙ্গে দেখা করতে পারেন একমাত্র পরিবারের সদস্যরা। পরিবার ছাড়া অন্য কারও ঢোকার সুযোগ নেই।

আফরোজা আব্বাসের সংবাদ সম্মেলনের পরেই শুরু হয় বিএনপি নেত্রীদের সেলফি উৎসব। হাসিখুশি বিএনপি নেত্রীরা আব্বাসপত্মীর সঙ্গে একের পর এক সেলফি তুলতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।

এর আগে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়ে কারাগারে পাঠান আদালত। এ ছাড়া বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি পাঁচ আসামির প্রত্যেককে ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেয়া হয়।

আদালতের রায়ের পর থেকে খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরনো কারাগারের ডে কেয়ার সেন্টারে বিশেষ সুবিধাপ্রাপ্ত (ডিভিশনড) কয়েদি হিসেবে রাখা হয়েছে।

এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে