সোমবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১৮, ০৮:২২:৩৮

অর্থমন্ত্রীর ‘রাবিশ-বোগাস’ বলার কারণ জানালেন আপন ছোট ভাই

অর্থমন্ত্রীর ‘রাবিশ-বোগাস’ বলার কারণ জানালেন আপন ছোট ভাই

ঢাকা : অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত একজন নিষ্ঠাবান ও সৎ মানুষ। তিনি সাদাকে সাদা ও কালোকে কালো বলতে কুন্ঠিত বোধ করেন না। তিনি দৃঢ়চেতা মানুষ। কোনো কিছু অপছন্দ হলে অকপটে তা বলে দেন। এ জন্যই আপনারা রাবিশ, বোগাস শব্দের সাথে পরিচিত। এ ভাবেই অর্থমন্ত্রীর ‘রাবিশ-বোগাস’ বলার কারণ জানালেন আপন ছোট ভাই ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

রবিবার শাহবাগে বারডেম হাসপাতাল মিলনায়তনে ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম স্মৃতি স্বর্ণপদক-২০১৮অনুষ্ঠানে এসে এসব কথা বলেন তিনি। এ অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রীকে সম্মাননা পদক দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে মোমেন বলেন, আমাকে আজ আমার বড় ভাইয়ের সম্পর্কে  স্মৃতিচারণ করতে বলা হয়েছে। আব্দুল মোমেন আরও বলেন, কোনো কাজে কারও ক্ষতি করার মতলব কখনও ছিল না অর্থমন্ত্রীর। তিনি একজন সৎ মানুষ।

মোমেন বলেন, আমার বড়ভাই অর্থমন্ত্রীর ডাকনাম শিশু। এখনও তার শিশুসুলভ আচরণ আছে। বড় ভাই হিসেবে ধমক টমক দিলে আমরা এখনও শিশুপ্রকৃতি নিয়মে তা গ্রহণ করি। আমরা খুব ভাগ্যবান যে তার মতো উন্নয়নের হাতিয়ার পেয়েছি।

মোমেন বলেন, তার (মুহিত) সঙ্গে কোনো বিষয়ে যুক্ততর্ক করলে তিনি অন্যের মত শুনবেন। এ ব্যাপারে একটি উদাহরণ দিয়ে ড. মোমেন বলেন, মনে করেন, ২০০১ সালে আমাদের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী আমাকে অনুরোধ করলেন যে মুহিত সাহেবকে আওয়ামী লীগে নিয়ে আসার জন্য। আমি বললাম এটা খুব কঠিন, আপনি বলেন।

তিনি (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা) বললেন, উনি রাগী লোক। আমি বলতে পারবো না, আপনিই দেখেন। আমি উনাকে (মুহিত) বললাম হুমায়ুন রশিদ সাহেবতো নেই সেই যায়গায় আমাদের নেত্রী আপনাকে চায়। উনি সাথে সাথে এটাকে রাবিশ বললেন। বললেন, নো আমি এত দিন ধরে এ কাজ করছি।

 আমি বললাম তোমার এখানে যাওয়া দরকার। প্রথমে রাগ করলেন। কিন্তু আমি অনেক ঠান্ডা পরিবেশ সৃষ্টি করলাম। ভাই, বোন ও ওনার (মুহিতের) বন্ধুবান্ধব ধরলাম। সবাই এক সঙ্গে ধরার পর উনি গ্রহণ করলেন। একবার ধরার পর সেটাতেই লেগে থাকলেন।

ওনার একটা গুণ যেটা নিয়ে কাজ করেন সেটা খুব নিষ্ঠার সঙ্গে করেন। ২০০১ এর নির্বাচনে পরাজয় বরণ করেন তিনি। কিন্তু সেই পরাজয়টা বোধ হয় তার জন্য সবচেয়ে বড় শিক্ষা হয়েছে। কারণ তখন পরাজয়ের সময়টুকু নীতি কাজ করে গেছেন।

দিলওয়ার রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন বিশেষ অতিথি বাংলাদেশ ডায়াবেটিক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ কে আজাদ খান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইমেরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান, অর্থ ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী এম এ মান্নান, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সাবেক স্থায়ী প্রতিনিধি ড. এ কে আবদুল মোমেন, ডা. মোহাম্মদ ইব্রাহিম স্মৃতি পরিষদের উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল অধ্যাপক এ আর খান এবং বারডেম হাসপাতালের মহাপরিচালক অধ্যাপক নাজমুন নাহার।

এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে