ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে আমাকে শ্যাওলা ধরা একটি ভবনে রাখা হয়েছিল, খাট ছিল ভাঙা। আর তাকে (খালেদা জিয়া) রাখা হয়েছিল স্পিকারের বাড়িতে। তখনও তার সঙ্গে এই ফাতেমাকে দেওয়া হয়েছিল, এটা গোপন ছিল।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে সোমবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেকে আছে ভাগ্যবতী, কেবল নিতেই পারে, আবার কেউ দিতেই পারে। আমরা দুই বোন, আমাদের একটা মাত্র বাড়ি। আমার আব্বা সারাজীবন জনগণের জন্য কাজ করেছেন, ওই বাড়িটি তাই জনগণের জন্য দিয়ে দিয়েছি। আমরা ট্রাস্ট করে ১৭০০ থেকে ১৮০০ জনকে সহায়তা করি। আমরা এটা নিয়ে খুব একটা প্রচারও করি না। আর কেউ যদি এতিমের টাকার মায়া ত্যাগ করতে না পারে, তা নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।
খালেদা জিয়ার দুর্নীতি মামলার রায় প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এতিমের টাকা মেরে খেলে আদালত শাস্তি দেয়, আল্লাহর তরফ থেকেও দেওয়া হয়। আমাদের তো কিছু করে নাই। রায় তো আমি দিইনি। রায়টা দিয়েছে কোর্ট। মামলাটা করেছে ফখরুদ্দীন-মইনুদ্দীন সরকার। তারা ফখরুদ্দীনকে গভর্নর করেছিল। নয়জনকে ডিঙ্গিয়ে মইন উ আহমেদকে সেনাপ্রধান করেছিল। আর ইয়াজউদ্দীন তো তাদের ছিলই। মামলাটা তারা দিয়েছে। এই মামলাটা ১০ বছর চলেছে। মামলায় তিন বার জজ পরিবর্তন হয়েছে, সময় চেয়েছে ১০৯ বার। বহু টালবাহানা আপনারা দেখেছেন। ২৬১ দিনের মতো তারিখ পড়ল। আপিল বিভাগে ২২ বার রিট করা হয়েছিল। এত কিছুর পর তিনি মাত্র ৪৩ দিন কোর্টে হাজির হয়েছিলেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সদ্য সমাপ্ত ইতালি ও ভ্যাটিকান সিটি সফর নিয়ে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক কৃষি উন্নয়ন তহবিলের (ইফাদ) প্রেসিডেন্ট গিলবার্ট এফ হংবো'র আমন্ত্রণে ইফাদের বার্ষিক পরিচালনা পর্ষদের বৈঠকে অংশগ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা গত ১১ থেকে ১৪ ফেব্রুয়ারি ইতালি ও ভ্যাটিকান সিটিতে চারদিনের সরকারি সফর করেন।
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস