ঢাকা: বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আমরা ক্ষমতায় থাকাকালীন সাড়ে ৭ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধ মামলা ছিল। কিন্তু এখন সারাদেশে বিএনপি নেতাকর্মীদের নামে ৭৮ হাজার মামলা দিয়েছে। এতে আসামী করা হয়েছে ১৮ লাখের উপর নেতাকর্মীকে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের হলরুমে খালেদা জিয়া, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও সকল রাজবন্দীর মুক্তির দাবিতে ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক অধিকার মঞ্চ’ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়ার নামে ৪টি দুর্নীতির মামলা ছিল। আর শেখ হাসিনার নামে ছিল ১৬টা। এই ১৬টা মামলা উঠিয়ে নিয়ে খালেদার ৪টা রেখে দেওয়া হয়েছে। অতএব এসব কথা বলার আগে আয়নার নিজের মুখ দেখতে হবে। জনগন কি বলে আগে সেটা দেখুন।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকার জনগনকে বিচ্ছিন্ন করে রাখতে চায়। এ জন্য গোটা প্রশাসনে তারা আওয়ামী লীগের লোক নিয়োগ করে রেখেছে। তারা অন্যায়ভাবে, অনৈতিক ভাবে ক্ষমতায় টিকে আছে। এই দানবীয় সরকারকে উৎখাত করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, সম্প্রতি বিরোধী দলের নেত্রী সংসদে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুতি মিনতি করে বলেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী আমাদের কেউ বিরোধী দল মনে করেনা। কোথাও বিরোধী দল হিসেবে আমাদের কন্ট্রিবিউশন নেই। এর মধ্যে দিয়ে প্রমাণিত হয় দেশ কোন দিকে যাচ্ছে। এই সরকার গণবিচ্ছন্ন সরকার। সাংবিধানিকভাবেই তারা অবৈধ। ক্ষমতায় থাকার নৈতিক অধিকার সরকারের নেই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্যে করে বিএনপি মহাসচিব বলেন, গতকাল প্রধানমন্ত্রী পার্লামেন্টে আপত্তিকর কথা বলেছেন। বাংলাদেশের বৃহত্তম দলটিকে তিনি বলেছেন, বিএনপি দুর্নীতি পরায়ন। অথচ এই দলটি দেশে গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। ৪ বার রাষ্ট্র ক্ষমতায় ছিল।
নেতাকর্মীদের আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমাদের লড়াইটা হলো একদিকে খালেদা জিয়া, গয়েশ্বরসহ সকল রাজবন্দীকে মুক্ত করে আনা, অন্য দিকে দেশের গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনা। সকলকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, দানব সরকারকে সরাতে হবে এবং গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে আনতে হবে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস