ঢাকা : উদঘাটিত হলো শাখাঁরীবাজার হলি উৎসবে প্রাণ যাওয়া কলেজ ছাত্র রওনক হত্যার রহস্য। পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এলো রওনক হত্যার নেপথ্যে ত্রিভূজ প্রেমের কাহিনী। সেই সাথে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িতদের মধ্যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
গ্রেফতারকৃতরা হলো, রিয়াজ আলম ওরফে ফারহান, মোঃ ফাহিম আহম্মেদ ওরফে আব্রো, মোঃ ইয়াসিন আলী, মোঃ আল আমিন ওরফে ফারাবী খাঁন ও মোসাঃ লিজা আক্তার ওরফে মাইসা আলম। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি চাকু উদ্ধার করা হয়েছে।
কলেজ ছাত্র রওনক গত ১ মার্চ’১৮ দুপুরের দিকে শাখাঁরীবাজার এলাকায় হলি উৎসব দেখতে এসে দূর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে নিহত হয়। ঐ দিন রওনকের মা বাদী হয়ে কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত শুরু করে থানা পুলিশ।
আজ ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে প্রেস ব্রিফিংয়ে লালবাগের উপ-পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ ইব্রাহীম খান রওনক হত্যা রহস্য উদঘাটন সম্পর্কে বলেন, মাইশা নামের একজন মেয়ের সাথে রওনক এর সম্পর্ক ছিল। রওনক উক্ত সম্পর্ক ছিন্ন করে তুহু নামক এক মেয়ের সাথে প্রেমের সম্পর্ক স্থাপন করে।
তুহুকে অপর একজন ছেলেও পছন্দ করত। এ বিষয় নিয়ে ভিকটিম রওনক এর সহিত ঐছেলের কথা কাটাকাটি ও উত্যপ্ত বাক্য বিনিময়সহ ঘটনার সূত্রপাত হয়। তুহুর প্রেমিক রওনক এর উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য হলি উৎসবকে বেছে নেয়। রওনককে হলি উৎসবে আনার জন্য মাইশাকে ব্যবহার করে ঐ ছেলে।
গত ১লা মার্চ’২০১৮ তারিখ ঐ ছেলে তার বন্ধুদের একটি গ্রুপ নিয়ে ঘটনার ৩০/৪০ মিনিট পূর্বে লক্ষীবাজার কেএফসি এর সামনে একত্রিত হয়ে প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করে। পরিকল্পনা অনুযায়ী ৩/৪ টি ছুরি সংগ্রহ করে।
পরবর্তী সময়ে রওনক তার ৭/৮ জন বন্ধুসহ শনি মন্দিরের সামনে আসলে পূর্বের পরিকল্পনা অনুযায়ী ঘাতকরা রওনককে একপাশে ডেকে নিয়ে যায়। এক পর্যায়ে তারা ইচ্ছাকৃতভাবে রওনকের সাথে বাকবিতন্ডায় লিপ্ত হয়।
এসময় ১০/১৫ জন রওনককে এলোপাথারি চর থাপ্পর মারতে থাকে। এদের মধ্যে কয়েকজন ছেলে ছুরি দিয়ে উপুর্যুপুরি আঘাত করে। পরবর্তী সময় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার সময় রওনক মারা যায়।
ডিসি লালবাগ আরো বলেন, হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত অন্যান্য ব্যক্তিদের সনাক্ত করা হয়েছে। তাদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। অচিরেই তাদের গ্রেফতার করা সম্ভব হবে।
এমটিনিউজ/এসএস