ঢাকা: দলীয় চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে কারাগার থেকে বের হয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা।
বুধবার সোয়া ৩টায় কারাগারে ঢোকেন তারা। পরে সাড়ে চারটায় বের হয়ে যান।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গিয়েছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সাত সদস্য ও একান্ত সচিব। তারা হলেন মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার, ড. আবদুল মঈন খান, মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তার।
খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাংবাদিকদের বলেন, কারো উস্কানিতে পা না দিয়ে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন খালেদা জিয়া।
ফখরুল বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার মনোবল অত্যন্ত উঁচু। খালেদা জিয়া সাহসিকতার সঙ্গে সব প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করছেন। কারারুদ্ধ অবস্থায় তিনি দেশের কথাই চিন্তা করছেন।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের মাধ্যমে ম্যাডাম দেশবাসীকে জানানোর জন্য বলেছেন, তিনি যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত। আমরা কারাগার তার মনোবল অত্যন্ত উঁচু দেখেছি।’
ফখরুল বলেন, ‘তিনি (খালেদা) সত্যের পথে এবং সত্য প্রতিষ্ঠা হবে বলে মনে করেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে তাকে কারাগারে রাখা হয়েছে। সরকার বিভিন্ন কারচুপির মধ্য দিয়ে কারাবাসকে দীর্ঘ করার ষড়যন্ত্র করছে।’
১৯৯১ সালে এতিমদের জন্য বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখেরও কিছু বেশি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ২০০৮ সালে দুর্নীতি দমন কমিশনের করা মামলায় খালেদা জিয়া এখন কারাগারে বন্দী। গত ৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টারা জরিমানার আদেশ দেন।
এক মাস ধরে কারাগারে বন্দী খালেদা জিয়া উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন দণ্ডের বিরুদ্ধে। পাশাপাশি তাকে জামিনে বের করে আনার চেষ্টা করছে বিএনপি নেতারা।
খালেদা জিয়া বন্দী হওয়ার পর থেকে বিএনপি নেতারা নিজেরা বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিয়ে দল চালাচ্ছেন। পাশাপাশি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানও যুক্তরাজ্য থেকে নির্দেশনা দিচ্ছেন।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস