সোমবার, ১২ মার্চ, ২০১৮, ০৫:৫০:৫৫

নেপালে বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রী বোনের জন্য ভাইয়ের আহাজারি

নেপালে বিধ্বস্ত বিমানের যাত্রী বোনের জন্য ভাইয়ের আহাজারি

ঢাকা : রাজধানীর দক্ষিণখান এলাকার উম্মে সালমা। সরকারের একজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা তিনি। বর্তমানে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়েল সিনিয়র এসিস্ট্যান্ট চিফ হিসেবে কর্মরত আছেন। তিনদিনের দাফতরিক সফরে (অফিসিয়াল ট্রিপে) সোমবার ইউএস বাংলার বিমানে কাঠমান্ডু রওনা দিয়েছেন তিনি।

এরপরই আসে বিমান দুর্ঘটনার খবর। সঙ্গে সঙ্গে রাজধানীর বারিধারারা ইউএস বাংলা এয়ারলাইন্সের অফিসে ছুটে আসেন তার বড় ভাই আবুল কালাম আজাদ। বোনের জন্য আহাজারি করতে থাকনে তিনি। বোনকে জীবিত ফিরে পাওয়া নিয়ে শঙ্কায় আছেন তিনি। শোক যেন তাকে নির্বাক করেছে।

সোমবার নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (টিআইএ) ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের যাত্রীবাহী একটি বিমান বিধ্বস্ত হয়। ইউএস-বাংলা সূত্রে জানা গেছে বিমানটিতে হতাহতের বিষয়ে তারা এখনও নিশ্চিত তথ্য পায়নি।

তবে ফ্লাইটটিতে ৬৫ জন প্রাপ্তবয়স্ক, দুই শিশু এবং পাইলট ও ক্রু চারজন ছিলেন। তাদের মধ্যে ৩৩ জন বাংলাদেশি, ১ জন মালদ্বীপের নাগরিক, ১ জন চাইনিজ বাকিরা নেপালের যাত্রী।’

বেলা সোয়া দুইটার দিকে কাঠমাণ্ডু আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে ইউএস বাংলার বিমানটি বিধ্বস্ত হয়। দূর থেকে বিমানটি থেকে প্রবল ধোঁয়া উঠতে দেখা যায়। ত্রিভুবন ইন্টারন্যাশনাল এয়ারপোর্টের পূর্ব দিকে বিমানটি ল্যান্ড করার সময় পাশের রানওয়ের বাইরে একটি ফুটবল মাঠে বিধ্বস্ত হয়।

নেপালের বেসামরিক বিমান পরিবহন কর্তৃপক্ষের মহাপরিচালক সানজিব গৌতম বলেন, রানওয়েতে অবতরণের চেষ্টার সময় বিমানটির পাইলট নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন। ইউএস-বাংলার বিমানটিকে বিমানবন্দরের দক্ষিণ-প্রান্ত থেকে রানওয়েতে অবতরণের অনুমতি দেয়া হয়েছিল। কিন্তু বিমানটি বিমানবন্দরের উত্তর অংশ থেকে অবতরণের চেষ্টা করে। এ সময় হঠাৎ বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। পরে বিমানবন্দরের পাশের একটি ফুটবল মাঠে বিমানটি বিধ্বস্ত হয়।

এমটিনিউজ/এসএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে