নিউজ ডেস্ক : শেয়ারবাজার থেকে শত শত কোটি টাকা লোপাট হওয়ায় ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীসহ শত শত পরিবার পথে বসেছে। এদের অর্থ উদ্ধারে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। পুলিশের কনস্টেবল নিয়োগে ১০ লাখ টাকা, এসআই নিয়োগে ২০ লাখ টাকা ঘুষ নেয়া হয়। বললেন সাবেক রাষ্ট্রপতি ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
সোমবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ জাতীয় জোট- (বিএনএ) আয়োজিত আগামী ২৪ মার্চ সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের মহাসমাবেশ সফল করার লক্ষে আয়োজিত প্রস্তুতি সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, দেশের মানুষ দুই নেত্রীর শাসন পছন্দ করছে না। এ অবস্থায় জাতীয় পার্টির নেতৃত্বে ৫৮ দলীয় সম্মিলিত মহাজোট গঠন করা হয়েছে। এই জোট দেশের মানুষের মধ্যে সুখ-শান্তি ফিরিয়ে দেবে। শিশুদের ঘাড়ে গাদা গাদা বই চাপিয়ে তাদের কাঁধ ভেঙে ফেলার উপক্রম করেছে। শিক্ষার মান নেই, প্রশ্নপত্র ফাঁস হচ্ছে।
হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ বলেন, সীমাহীন দুর্নীতিতে দেশ ছেয়ে গেছে। প্রতিদিন হত্যা, ধর্ষণ, গুম, রাহাজানি চলছে। অর্থসংকটে কয়েকটি ব্যাংক বন্ধ হওয়ার পথে। মানুষের মধ্যে হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। সাধারণ মানুষ এ নৈরাজ্যকর পরিস্থিতির বেড়াজাল থেকে মুক্তি পেতে চায়।
তিনি বলেন, দেশে যানজট, নিয়োগ বাণিজ্য, ব্যাংকের টাকা লোপাট, শেয়ারবাজারের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ, পুলিশের চাকরিতে মোটা অঙ্কের ঘুষ লেনদেন, শিক্ষাব্যবস্থায় অব্যবস্থা চলছে। ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ ব্যাংক কোনো কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
বেকারত্বের প্রসঙ্গ টেনে জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান বলেন, রাজধানীতে ১২৭টির মতো বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে হাজার হাজার শিক্ষার্থী প্রতি বছর উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করেও তারা বেকারত্বে ভুগছেন। হতাশায় বিভ্রান্তিতে পড়ে ইয়াবা সেবনে অভ্যস্ত হচ্ছে।
তিনি বলেন, বর্তমানে দেশে অসংখ্য শিক্ষিত বেকার যুবক রয়েছেন যারা বাবা-মার অর্থকড়ি খরচ করে বেকার জীবনযাপন করছে। ১৮ কোটি জনগণের মধ্যে বর্তমানে ৫ কোটি মানুষ কর্ম করছে।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস