ঢাকা : বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জোবাইদা রহমানকে রাজনীতিতে নিয়ে আসার বিষয়টি বার বার আলোচনায় আসছে। গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম জিয়া দুর্নীতির মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড মাথায় নিয়ে জেলে গেলে আলোচনাটি আরো ঘনিভূত হয়। দুই মাস পেরিয়ে গেল দলের চেয়ারপারসন কারাগারে।
এদিকে ১৭ বছরের দণ্ড মাথায় নিয়ে লন্ডনে বসে দল চালাচ্ছেন ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান। এমন সময়ে দলের হাল ধরতে, বিশেষ করে নির্বাচনের আগে প্রচারণার ক্ষেত্রে জিয়া পরিবারের কাউকে সামনে আনার ক্ষেত্রে ডা. জোবাইদাকেই সবচেয়ে বেশি চিন্তা করা হচ্ছে। তাহলে কি ডা. জোবাইদাই বিএনপি’র হাল ধরছেন?
ধারণা করা হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে যদি আদালতের সিদ্ধান্তে নির্বাচন থেকে দুরে থাকতে হয় তাহলে জেবাইদা রহমানকে খালেদার স্থানে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণায় কাজে লাগানো হতে পারে। বিষয়টিকে দলের নেতাকর্মীরাও ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন।
তবে দেশে ফেরার ক্ষেত্রে ডা. জোবাইদার সবচেয়ে বড় বাধা হলো তার পাসপোর্ট। ২০১৩ সালে তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হয়েছে। তারেক রহমান এবং তার পরিবারের কেউই পাসপোর্ট নবায়ন করেননি। তবে নিজ দেশে ফিরতে চাইলে বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে অস্থায়ী এন্ট্রি ডকুমেন্ট নেয়া যায়।
এদিকে, পুরনো ঢাকার নির্জন কারাগারে থেকে বেগম জিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। ইতোমধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়ে তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছে সরকার। তাতে বিএনপির আস্থা নেই বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। খালেদা জিয়া দেখার জন্য স্বল্প সময়ের জন্য ডা. জোবাইদা রমজান মাসে ঢাকায় আসতে পারেন বলে বিএনপির একটি নীতি নির্ধারণী সূত্র জানিয়েছে।
এর আগে লন্ডন থেকে মেয়েদের নিয়ে দেশ ঘুরে গেছেন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। কারাগারে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তিনি দেখাও করেছেন। ওই সূত্র আরো জানিয়েছে, পেশায় চিকিৎসক জোবাইদা আসছেন মূলত খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য। স্থানীয় চিকিৎসকদের সঙ্গেও এ বিষয়ে তিনি কথা বলবেন।
এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস