ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কবি সুফিয়া কামাল হল থেকে বের করে দেয়া ছাত্রীদের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হলে ফিরিয়ে নেয়ার জন্য কর্তৃপক্ষকে আল্টিমেটাম দিয়েছে বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। এই সময়ের মধ্যে ছাত্রীদের হলে ফেরত না নিলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলন করা সংগঠনটি।
শুক্রবার বিকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজু ভাস্কর্যের সামনে এই হুঁশিয়ারি দেন সংগঠনটির নেতারা।
এর আগে বিকাল সাড়ে চারটার দিকে একটি বিক্ষোভ বের করে ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদ। রাজু ভাস্কর্যের সামনে থেকে প্রায় দুই শতাধিক শিক্ষার্থীকে নিয়ে বের হওয়া মিছিলটি শাহবাগের কাছে গিয়ে আবারো রাজু ভাস্কর্য চত্বরে ফিরে আসে। এর নেতৃত্ব দেন কোটা সংস্কার আন্দোলনের যুগ্ম আহ্বায়ক নূরুল হক নূরু।
বিক্ষোভে ‘ছাত্রী নির্যাতনের’ প্রতিবাদে প্রশাসনের জবাব চেয়ে স্লোগান দেন অংশ নেয়া শিক্ষার্থীরা। ‘আমার বোন বাইরে কেন, প্রশাসন জবাব চাই’, ‘হলে হলে নির্যাতন কেন?’, ‘নিপীড়ন রুখে দাও’সহ বিভিন্ন ধরনের শ্লোগান দেন শিক্ষার্থীরা। এছাড়া তাদের হাতে বিভিন্ন শ্লোগান সম্বলিত প্ল্যাকার্ডও আছে। হামলা করে আন্দোলন বন্ধ করা যাবে না বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন শিক্ষার্থীরা।
উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে কবি সুফিয়া কামাল হলের তিন ছাত্রীকে হলত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। এর প্রতিবাদে রাত দেড়টার দিকে ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী এস এম ইয়াসিন আরাফাত একাই প্রভোস্টের পদত্যাগের দাবিতে হলের ফটকে অবস্থান নেন। রাত দুইটার দিকে কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনকারী বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা সুফিয়া কামাল হলের সামনে উপস্থিত হন। পরে শুক্রবার দেশের প্রতিটি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করে অবস্থান শেষ করেন সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতারা।
তবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই ছাত্রীদের হল থেকে বের করে দেয়া হয়নি। তাদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়া হয়েছে। সকালে অভিভাবকদের ডাকা হলেও আসতে দেরি করায় রাতে ছাত্রীদের অভিভাবকদের হাতে তুলে দেয়া হয়।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস