রবিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৮, ১০:১৭:৫৩

তারেক রহমান আসবেন, কারও ওস্তাদির দরকার নেই: গয়েশ্বর

তারেক রহমান আসবেন, কারও ওস্তাদির দরকার নেই: গয়েশ্বর

ঢাকা: বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেছেন, ‘তারেক রহমান দেশে আসবেন, এজন্য তো কারও ওস্তাদি করার দরকার নেই। এটা তো খুব বড় একটা কাজ না। তারেক রহমান অবশ্যই আসবেন।’ রবিবার (২২ এপ্রিল) বিকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ঢাকায় ফেনী জাতীয়তাবাদী পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

গয়েশ্বর রায় আরও বলেন, ‘সবাই যেটা আশঙ্কা করছে, তার আগেই ক্ষমতাসীনরা দেশ থেকে চলে যাবে। ওবায়দুল কাদেররা অনেক কথা বলেন, আমাদের কিন্তু দরকার নেই আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করার। আলোচনা মনে হয় আপনাদেরই করতে হবে। কারণ, গণতন্ত্র যখন ফেরত আসবে তখন আপনাদের কী হবে? গণতন্ত্র ফেরত আসার মানেই হলো আপনারা রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকবেন না। আর গণতন্ত্র থাকলে আপনাদের ক্ষমতায় আসার কোনও সম্ভাবনা নেই।’

বিএনপির নেতাকর্মীরা জেগে গেলে সরকার খালেদা জিয়াকে ছাড়তে বাধ্য হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে আমরা যদি বাড়িতে নিরাপদে থাকতে চাই তাহলে তাকে মুক্ত করা কষ্ট। ম্যাডামকে (খালেদা জিয়া) যখন বাড়ি থেকে উৎখাত করা হলো, তখন আমি ম্যডামকে বলেছিলাম, বাড়ি গেছে আপনি কষ্ট পাচ্ছেন কেন? 

আমাদের তো কারও বাড়ি যায়নি। আর আমরা যদি ঝুঁকি নিতে পারতাম তাহলে আমাদের সবার বাড়ি যেত কিন্তু আপনার বাড়ি যেত না। আমরা যদি জেগে যাই খালেদা জিয়াকে ছাড়তে শেখ হাসিনা বাধ্য হবেন।’

খালেদা জিয়া কারাবন্দি হওয়ার পর তারেক রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি অনেক ঐক্যবদ্ধ দাবি করে গয়েশ্বর চন্দ্র রায় বলেন, ‘তারেক রহমানের নেতৃত্বে আমরা এখন ঐক্যবদ্ধ। ওনার ভাবনা আর আমাদের ভাবনা একাকার। দলের মধ্যে কমিটি নিয়ে কিছু চাওয়া-পাওয়া থাকে, সেটাও আপাতত নেই। 

ওনারা সবাই এখন নিজস্ব চাওয়া-পাওয়ার বিষয়টা বিসর্জন দিয়েছেন। একটাই চাওয়া প্রতিষ্ঠিত করতে চান, সেটা হলো খালেদা জিয়াকে জনসম্মুখে আনা। গণতন্ত্রের মুক্তির পূর্বশর্ত হলো খালেদা জিয়ার মুক্তি। এই সিদ্ধান্ত আমাদের মধ্যে ঐক্যবদ্ধভাবে অনুভব করতে পারছি।’

সরকার খালেদা জিয়ার সঙ্গে মশকরা করছে দাবি করে তিনি বলেন, ‘জেলখানায় গেলে আমরা দেখি যিনি যা প্রাপ্য না, তিনি তা পান এবং যিনি যা প্রাপ্য তাও পান না। সেজন্য সরকারের রাজনৈতিক বিবেচনায় সেখানকার সিদ্ধান্ত হয়। 

আপনারা যদি এই মুহূর্তে কেরানীগঞ্জের কারাগারে যান, তাহলে কমপক্ষে ৫-৭টি এসিওয়ালা রুম পাবেন। সেগুলো দেয়ালে লাগানো এসি নয়, পোর্টেবল এসি। অর্থাৎ, যাদের আর্থিক সামর্থ্য আছে জেল কর্তৃপক্ষ তাদের সুযোগ দেয়। সেখানে ফ্রিজও আছে। তাহলে খালেদা জিয়ার যেই মর্যাদা, সে অনুসারে সরকার তার সঙ্গে মশকরা করছে। মশকার বললে ভুল হবে, এটা তাকে মানসিকভাবে নির্যাতন এবং নিষ্পেষিত করা। 

মঈন ইউ আহমেদ এবং ফখরুদ্দীন যা পারেনি, তা শেখ হাসিনা পারার জন্য চেষ্টা করছেন। আমি জেলখানায় থাকতে শুনেছি খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতেই হবে। অর্থাৎ, ওনার যখন বিদেশে চিকিৎসার প্রয়োজন হয়নি, তখন ওনাকে সুরেন্দ্র কুমার সিনহার মতো বিদেশ পাঠানোর ব্যবস্থা করা হচ্ছিল।’

সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু, বরকতুল্লাহ বুলু, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুব উদ্দিন খোকন, ঢাকায় ফেনী জাতীয়তাবাদী পরিষদের সদস্য সচিব নজরুল ইসলাম জুয়েলসহ নেতৃবৃন্দ। 
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে