অনিমেষ চৌহান: চতুর্দশ শিক্ষক নিবন্ধন পরীক্ষার ফলাফল গোঁজামিল দিয়ে প্রকাশ করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগের স্বপক্ষে প্রমাণ দিয়েছেন শাইখ ফরিদ নামে এক ফলপ্রার্থী। ফলাফলে দেখা গেছে, রোল নম্বর তার হলে নাম নূর নাহার। বিষয়টি দেখে আক্ষেপ করে তিনি বলেন, ‘পরীক্ষা দিলাম আমি, আর পাশ করলো নূর নাহার!’
গতকাল সাড়ে ৩টায় প্রকাশিত ফলাফলে ফল প্রত্যাশীরা পড়েছে বিভ্রান্তিতে এবং ভোগান্তিতে। এছাড়া এডুকেশন বাংলার অফিসে অসংখ্য পরীক্ষার্থী ফোন করেও বিষয়টি জানিয়েছে। এডুকেশন বাংলার পক্ষ থেকে এনটিআরসিএ-এর চেয়ারম্যান ও পরিচালকের ফোনে গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় একাধিকবার ফোন দেওয়া হলেও তা বন্ধ পাওয়া যায়।
ফলাফল প্রকাশের পর পরীক্ষার্থীরা ফলাফল দেখে হতভম্ভ। অনেকের মোবাইলে রোল ঠিক থাকলেও নাম অন্যজনের। অনেকের মোবাইলে নাম রোল কিছু না দিয়ে শুধু দেখায় ফেল। এ বিষয়ে এনটিআরসিএ এব চেয়ারম্যন কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
মোঃ শাইখ ফরিদের ফলাফলে নূর নাহার আসার বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে হাসি-তামাশার জোয়ার বয়ে যাচ্ছে। সাইফুল ইসলাম নামে একজন লিখেছেন, ‘এনটিআরসিএ একটু এডভান্স। যারা পাশ করেছেন, তাদের রেজাল্টের সাথে পাত্র-পাত্রীর সন্ধান করে দিচ্ছেন। আপনি আর একটু অপেক্ষা করেন, পাত্রী পেয়ে যাবেন। আগাম শুভ কামনা ভাই!’
ইসমাইল হোসেন লিখেছেন, ‘শুধু আপনার নয়। আমি এ পর্যন্ত ৩/৪ জনের ক্ষেত্রে এ ঘটনা শুনেছি!’
আবদুল মালেক লিখেছেন, ‘এনটিআরসিএ গোপনে জানতে পেরেছে, আপনি মেয়ে হয়ে গেছেন। এখন আপনি একটা মেয়ে কোটা পেলেন, চাকরি নিশ্চিত!’
ইউসুফ পাঠান লিখেছেন,’ ভাইয়া এনটিআরসিএর বিরুদ্ধে মামলা করেন। মাইয়া দেখলেই মাথা খারাপ হয়ে যায় ওদের!’
এমটিনিউজ২৪/এম.জে/ এস