রবিবার, ২৯ এপ্রিল, ২০১৮, ০৭:৫৩:০১

'খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ফাইল প্রধানমন্ত্রীর অফিসে কেন যাবে?'

'খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ফাইল প্রধানমন্ত্রীর অফিসে কেন যাবে?'

ঢাকা: বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না সরকার এমন অভিযোগ ভিত্তিহীন উল্লেখ করে ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিনি অসুস্থ হলে জেল কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আছে, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আছে। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ফাইল প্রধানমন্ত্রীর অফিসে কেন যাবে?

রোববার দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে ঢাবির ছাত্রলীগের সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

'কারাবন্দি খালেদা জিয়াকে ইউনাইটেড হাসপাতালে স্থানান্তরের সুপারিশ করেছেন চিকিৎসকরা, সেই ফাইল প্রধানমন্ত্রীর দফতরে অনুমোদনের জন্য আটকে আছে' মির্জা ফখরুলের এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে ওবায়দুল কাদের এ মন্তব্য করেন।

বিএনপির চিকিৎসকদের বক্তব্য নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করে তিনি বলেন, জাতীয়তাবাদী চিকিৎসকরা যখন চিকিৎসার সার্টিফিকেট দেবেন, সেখানে তো সন্দেহ থাকাটা স্বাভাবিক। এই চিকিৎসক চিকিৎসার প্রকৃত চিত্রটা না বলে রাজনৈতিকভাবে একটা রাজনৈতিক সার্টিফিকেট দিয়ে দিবে, এটা কি গ্রহণযোগ্য?

সরকারের এ মন্ত্রী বলেন, সত্যিকারের যে চিত্র, এই ব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষ যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। সরকারের অমানবিক হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আর শেখ হাসিনার সরকার অমানবিক সরকার নয়। তারা আমাদের সঙ্গে যে ব্যবহার করেছেন, তার পাল্টা ব্যবহার কিন্তু আমরা করিনি।

বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবি সরকারকে জানিয়ে কোনো লাভ নেই। খালেদা জিয়া কারাগারে আছেন আদালতের বদৌলতে। সেটা নিয়েও তারা রাজনীতি করছেন। যেন সরকারই খালেদা জিয়াকে দণ্ড দিয়েছে। আমরা তাকে দণ্ডও দিইনি, আমরা তাকে দণ্ড থেকে মুক্তিও দিতে পারব না।

ছাত্রলীগের নেতা কর্মীদের উদ্দেশে ওবায়দুল কাদের বলেন, বাংলাদেশ ছাত্রলীগে যারা আগামী কমিটির নেতৃত্বে আসবেন, তারা কেউ কোনও সিন্ডিকেটের কথায় চলবে না। ছাত্রলীগ চলবে বঙ্গবন্ধুর আদর্শে এবং শেখ হাসিনার নির্দেশে। এর বাইরে চিন্তা করার কোনও অবকাশ নেই।

তিনি বলেন, ‘ছাত্রলীগকে সুনামের ইতিহাস ফিরিয়ে আনতে হবে। আমি চাই ত্যাগী ও যোগ্য নেতৃত্ব। কারণ, কারও পকেটের ওপর নির্ভর করে ছাত্রলীগের কমিটি হবে না।’

তিনি আরও বলেন, আগামী নির্বাচনে ভোটার বাড়াতে হলে যোগ্য, সাহসী, চরিত্রবান নেতা দরকার। আমি বর্তমান কমিটির অর্জনকে অস্বীকার করছি না। যারা সাবেক হবে সব নেতাকে আমরা নেতা বানাবো। সব নেতাকে আমরা উপ-কমিটিতে স্থান দিবো। আমি কথা দিলাম, তোমরা কেউ যদি তাতেও স্থান না পাও, তাহলে আমার সঙ্গে কাজ করবে। কর্মীর মূল্যায়ন আওয়ামী লীগ করতে জানে। শেখ হাসিনা যতক্ষণ আছেন, যোগ্য কর্মীর মূল্যায়নও ততদিন থাকবে।

সম্মেলনে কেন্দ্রীয় সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কমিটিকে বিলুপ্ত ঘোষণা করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসানের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্সের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর কবির নানক, সাংগঠনিক সম্পাদক এনামুল হক শামীম, ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন, সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে