নিউজ ডেস্ক : ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসাইন বলেছেন, ‘১৯৭৫ এ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারকে হত্যা করা হয়। সেসময় বিদেশে বঙ্গবন্ধুর কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পাশে ছিল আমার পরিবার। আমি সিলেটের সেই পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছি। সে পরিবারের সন্তান হিসেবে আমি বাংলাদেশ ছাত্রলীগের একজন কর্মী থেকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি।’
শুক্রবার রাজধানীতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের ২৯তম সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদকের রিপোর্ট পেশের সময় এসব কথা বলেন তিনি। এ সময় প্রধান অতিথি হিসেবে মঞ্চে ছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
জাকির বলেন, ‘জননেত্রীর দেয়া দায়িত্ব সঠিকভাবে পালনের চেষ্টা করেছি। জানি না আমরা কতটুকু সফল হয়েছি। ছাত্রলীগকে গ্রাম-গঞ্জে পৌঁছে দেয়ার চেষ্টা করেছি। যে কাজ করেছি তার সব কর্তৃত্ব আপনাদের (ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের)। তারপরও যদি কোনো ভুল থাকে তা আমি ও আমার সভাপতি মো. সাইফুর রহমান সোহাগ মাথা পেতে নিচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর ৯ মাসের মধ্যে ১০৯টি শাখার কমিটি গঠন করি। প্রতিটি বিভাগ, জেলা, উপজেলায় কমিটি গঠন করেছি। নতুন করে ৭০২টি পৌরসভার কমিটি দিয়েছি।
এ সময় সংগঠনটির সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ‘আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য কাজ করে গেছি। সাধারণ শিক্ষার্থীদের যৌক্তিক আন্দোলনে ছাত্রলীগ পাশে ছিল। মাদক ও জঙ্গিবাদমুক্ত বাংলাদেশ গঠন করার জন্য কাজ করেছি। পাশাপাশি ছাত্রলীগকে সচেতন করার জন্য চেষ্টা করেছি।’
ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘রাজনীতি শেখার পাঠশালা হচ্ছে ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের তিনটি কাজ করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী, কারাগারের রোজনামচা ও প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করা। এই তিনটি কাজ করলে আপনারা পরাজিত হবেন না। ভালো ছাত্র হয়ে ছাত্রলীগ পরিচালনা করতে হবে।’
এমটিনিউজ২৪.কম/এইচএস/কেএস