ঢাকা: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, চিকিৎসক ও নার্সদের উচিত রোগীদের সঙ্গে সহানুভূতি নিয়ে কথা বলা। তবে দিনভর সরকারি চাকরি করে রাতে আবার বেসরকারি কাজ করলে অতিরিক্ত কাজে মেজাজ খারাপ হওয়াটাই স্বাভাবিক।
শনিবার সকালে রাজধানীর মুগদায় জাতীয় নার্সিং উচ্চ শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ডাক্তার ও নার্সদের মধ্যে এই কথাটা থাকতে হবে যে, মানুষ যখন রোগী হয়ে আসে তখন ওষুধের থেকেও কিন্তু ডাক্তার-নার্সদের কথাবার্তা, ব্যবহার ও সহানুভূতিশীল মনোভাব দেখেও অর্ধেক রোগ ভালো হয়ে যায়। আন্তরিকতা, দায়িত্বরোধ এটাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ। আমি দোষ দেই না, কারণ আমাদের লোকসংখ্যা এত বেশি আর ডাক্তার-নার্স এত কম, এত বেশি রোগী দেখতে হয় এতে মেজাজ ঠিক রাখাও কঠিন হয়ে পড়ে।
তবে এই ক্ষেত্রে নিজেদের একটু সংযত হওয়া দরকার। কারণ, সরকারি চাকরি করবেন দিনভর আবার রাতেবেলায় গিয়ে প্রাইভেট করবেন- তাহলে তো মেজাজ এমনিতেই খারাপ হবে, এটা তো স্বাভাবিক। তবে ওই ক্ষেত্রে আপনারা নিজেরাও হিসেব করবেন আপনারা কতটা ধারণ করতে পারেন।
শেখ হাসিনা আরো বলেন, আমরা কিন্তু সরকারি চাকরিতে অনেক বেতন বাড়িয়ে দিয়েছি। ১২৩ ভাগ বেতন ও সুযোগ-সুবিধা বাড়িয়েছি। সেটাও মাথায় রাখতে হবে। তারপরও বাংলাদেশে যথেষ্ট চিকিৎসাসেবা দেওয়া হচ্ছে।
প্রধানমন্ত্রী তাঁর সরকারের আমলে চিকিৎসা ক্ষেত্রে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের তথ্যও তুলে ধরেন। তিনি বলেন, আমরা চাই মানুষ যাতে এলাকায় এলাকায় চিকিৎসা সেবা পায়। কারণ দূরে হাসপাতালে নিতে নিতেই রোগী মারা যায়।
শেখ হাসিনা তাঁর বক্তব্যে সরকারি অ্যাম্বুলেন্স রক্ষণাবেক্ষণের ওপরও জোর দেন।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস