বুধবার, ১৬ মে, ২০১৮, ০৫:০৪:৩৩

‘নামার সময় হেল্পার আমার কোমরে জোরে একটা চাপ দেয়’ আমি এখনো

‘নামার সময় হেল্পার আমার কোমরে জোরে একটা চাপ দেয়’ আমি এখনো

ঢাকা ডেস্ক: রাজধানীতে ফের এক ছাত্রীকে  হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার (১৫ মে) দুপুরে দেওয়ান পরিবহনের একটি বাসে চালক ও হেলপার ওই ছাত্রীকে হয়রানি করে। ওই বাসের রেজিস্ট্রেশন নম্বর ‘ঢাকা মেট্রো ব ১১-৭৭০৩’।
হয়রানির শিকার ওই ছাত্রী তেজগাঁও কলেজের মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী।

ভুক্তভোগী ছাত্রী জানান, সকালে দেওয়ান পরিবহনের একটি বাসে করে বাড্ডার বাসা থেকে লিংক রোড হয়ে তেজগাঁও কলেজে যাচ্ছিলেন। বাসটি লিংক রোড থেকে যাত্রী নিয়ে গুলশান ১ নম্বর গোলচত্বরে পৌঁছার আগে জ্যামে আটকা পড়ে। এ সময় বাসের অন্য যাত্রীরা নেমে যান। কিন্তু তিনি ও একজন বৃদ্ধ লোক বাসে থাকেন। তিনি চালকের পিছনের আসনে বসা ছিলেন। এসময় বাস চালক ও হেলপার তাকে অনেকটা একা পেয়ে বিভিন্ন অঙ্গভঙ্গিতে না বাজে কথা বলতে থাকেন। নানা রকম নারীবিদ্বেষী কথাবার্তা ও কটূক্তি করতে থাকে।

ওই শিক্ষার্থী জানান, হেলপার ভাড়ার কথা বলায় তিনি স্টুডেন্ট ভাড়া দিতে চাইলে হেলপার তাতে রাজি হয় না। ভাড়া আদায়কে কেন্দ্র করে হেলপার তাকে নানা অশ্রাব্য কথা বলতে থাকে। তারা আমাকে উদ্দ্যেশ্য করে এমন এমন কথা বলতে থাকে যা প্রকাশ করার মতো না। আমি নিরুপায় হয়ে কলেজের এক বড় ভাইকে মোবাইলে ম্যাসেজ করি।’ কিন্তু তিনি দূরে থাকায় সহযোগিতা করতে পারেননি।

ওই শিক্ষার্থী আরও বলেন, ‘গুলশান ১ নম্বরে প্রায় ৪৫ মিনিট আটকে থাকার পর ডিএনসিসি মার্কেটের সামনে থেকে অনেক যাত্রী উঠেন। তারা তিতুমীর কলেজের সামনে গিয়ে নেমে যায়। একপর্যায়ে আমি আবার একলা হয়ে পড়ি। পুরো রাস্তায় জ্যাম। তারা আমাকে বাস থেকে নামতে দেয় না। গেট আটকে দেয়। এবার আমি একটু পিছনে গিয়ে বসি। ফার্মগেটে গাড়ি আসার পরেও তারা আমাকে নামতে দিচ্ছে না। ডেইলি স্টারের সামনের ওভারব্রিজ পার হওয়ার পর আমি নামতে পারি। নামার সময় আমার কোমরে জোরে একটা চাপ দেয়। আমাকে আবারও টেনে গাড়িতে তোলার চেষ্টা করে।’

এখনও কোমরে ব্যথা হচ্ছে জানিয়ে ওই শিক্ষার্থী বলেন, ‘তারা আমাকে বলছে গাড়ি চাপা দিয়ে নাকি আমার মতো অনেক মেয়েকে হত্যা করেছে। প্রধানমন্ত্রী নাকি তাদের এমন ক্ষমতা দিয়েছে।’
এমটিনিউজ২৪.কম/এম/আই

Follow করুন এমটিনিউজ২৪ গুগল নিউজ, টুইটার , ফেসবুক এবং সাবস্ক্রাইব করুন এমটিনিউজ২৪ ইউটিউব চ্যানেলে