ঢাকা: ঢাকার সোয়ারীঘাট। একটি পরিত্যক্ত বাড়ি। ভেতরে গড়ে তোলা হয়েছে ফিল্টার পানির কারখানা। সেখানে রয়েছে সারি সারি ১২টি টেপকল। কর্মচারী মাত্র চারজন, আসল ঘটনা কিন্তু অন্য। এই কারখানায় পরিশোধন না করেই টেপকলগুলো থেকে ওয়াসার পানি জারে ভরে বাজারজাত করা হয়।
এনএ ড্রিংকিং ওয়াটার নামে এই কারখানায় বৃহস্পতিবার সরেজমিনে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে। কারখানার মালিকের নাম মো. আসলাম।
তবে মালিক বলছেন, ‘কর্মচারীদের গোসলের জন্য এই টেপকলগুলো বসানো হয়েছে।’
অবৈধ ও প্রতারণার মাধ্যমে অপরিশোধিত পানি জারে করে বিক্রির দায়ে আজ কারখানাটিকে সিলগালা ও এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
সোয়ারীঘাটের ছোট ঘাটে অবস্থিত এই প্রতিষ্ঠানে অভিযানে নেতৃত্ব দেন ঢাকা মহানগর পুলিশের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান।
কর্মচারীদের জিজ্ঞাসা করে ভ্রাম্যমাণ আদালত জানতে পারেন, গোসলের জন্য নয়, ওই পানির কলের মাধ্যমে ঢাকা পানি সরবরাহ ও পয়োনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষের (ওয়াসা) পানি নিয়ে পরিশোধন না করেই জারে ভরে বাজারজাত করা হচ্ছে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মশিউর রহমান বলেন, গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। গিয়ে দেখি, মাত্র চারজন কর্মচারী নিয়ে পানির কারখানাটি চলছে। পানির কোনো পরিশোধন যন্ত্র সচল নেই। ১২টি কল থেকে জারে পানি ভরা হচ্ছে।
তিনি বলেন, বিএসটিআই (সরকারি মান নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশন) থেকে এই প্রতিষ্ঠান যে লাইসেন্স নিয়েছিল তা দীর্ঘ দিন আগেই মেয়াদোত্তীর্ণ হয়। এসব কারণে প্রতিষ্ঠানটিকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি লাইসেন্স নবায়ন না করা পর্যন্ত প্রতিষ্ঠানটির সব কার্যক্রম বন্ধ রেখে সিলগালা করার নির্দেশ দেয়া হয়।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কারখানার মালিক মো. আসলাম বলেন, বিএসটিআই থেকে লাইসেন্স নিয়েছিলাম। তার মেয়াদ শেষ হয়েছে। আবার নবায়ন করব। আর টেকলগুলো কর্মচারীদের গোসলের জন্য।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস