ঢাকা: তুমিও রোজা রাখবে? লালবাগের বাসিন্দা আতাহার আলী সাত বছর বয়সী ছোট্ট নাতনিকে ডাইনিং টেবিলে বসতে দেখে অবাক হয়ে এ প্রশ্ন করেন। নাতনি আধোঘুম চোখে দাদাকে উদ্দেশ্য করে বাবা, মা ও ভাইকে দেখিয়ে বলে ওঠে, ‘সবাই রোজা রাখছে, আমিও রাখবো।’
নাতনির কথা শুনে হেসে উঠে আতাহার আলী বলেন, ‘ঠিক আছে, এখন খাও, আবার সকালে খেও।’ এ কথা শুনে গাল ফুলিয়ে নাতনি বলে ওঠে, ‘না, তা হবে না, আমি সন্ধ্যা পর্যন্ত রোজা রাখবো।’
রাজধানী ঢাকায় একটি মুসলিম পরিবারে রাত সোয়া ৩টায় এ কথোপকথন শোনা যায়। এ দৃশ্য শুধু আতাহার আলীর পরিবারের একারই নয়। এটি রাজধানীসহ সারা দেশের অসংখ্য মুসলিম পরিবারের চিত্র।
কারণ সময়ের পরিক্রমায় বছর ঘুরে আজ (শুক্রবার) থেকে পবিত্র মাহে রমজান শুরু হয়েছে। আজ থেকে আগামী এক মাস (চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ২৯ দিন কিংবা ৩০ দিন) ভোর রাতে ঘুম ভাঙবে সবার। প্রতিদিনের অভ্যাস অনুযায়ী রাতে ঘুমিয়ে সকালে ওঠার অভ্যাস থাকলেও আজ নগরবাসীর ঘুম ভেঙেছে মধ্যরাতে।
হঠাৎ করেই রাত ২টা-আড়াইটার সময় নগরবাসী জেগে উঠতে শুরু করে। বিভিন্ন বাসাবাড়িতে জ্বলে ওঠে বাতি। পরিবারের নারী সদস্যরা প্রথমে জেগে ওঠেন। কেউ টাটকা খাবার খেতে উনুনে রান্না চড়ান আবার কেউবা আবার আগের রাতে রান্না করা খাবার গরম করে নেন।
রেওয়াজ অনুযায়ী, পরিবারের মুরুব্বিরাই সেহরি খাওয়ার জন্য সকলকে ডেকে তোলেন। টানা এক বছরের ঘুমের অভ্যাস ভেঙে কেউ কেউ ঘুম থেকে উঠতে গড়িমসি করলেও মুরুব্বিরা দ্রুত ঘুম থেকে উঠে সেহরি খাওয়ার তাগাদা দেন।
মুরুব্বিরা খেয়ে উঠে টেলিভিশনে রমজান নিয়ে প্রচারিত বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান দেখতে থাকেন। ফজরের আজান পড়লে সবাইকে নামাজ পড়ার নির্দেশ দেন।
এমটিনিউজ২৪.কম/টিটি/পিএস