নিউজ ডেস্ক: আবার বাংলাদেশে আসছেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শর্মিলা রহমান। যেহেতু বেগম জিয়ার ঈদের আগে মুক্তি পাওয়ার কোনো সম্ভাবনা নেই, তাই লন্ডন থেকে কোকোর স্ত্রী বেগম জিয়ার সঙ্গে ঈদ করতে ঢাকায় আসছেন। বিএনপির একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র এ কথা নিশ্চিত করেছে। তবে সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, শুধু ঈদ নয়, ছন্নছাড়া বিএনপিকে আন্দোলনের পথে আনাও শর্মিলার ঢাকায় আসার এক বড় কারণ। ঈদের পর বিএনপি বড় ধরনের আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সেই আন্দোলনের কৌশল এবং করণীয় নিয়েও তিনি দলের সিনিয়র নেতাদের সঙ্গে কথা বলবেন বলে জানা গেছে।
গত ৮ মার্চ বেগম জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে কারাগারে যান। তাঁর গ্রেপ্তারের পর গত এপ্রিলে সৈয়দা শর্মিলা রহমান সিঁথি ১০ দিনের জন্য তাঁর দুই মেয়েকে নিয়ে ঢাকায় আসেন। এসময় তিনি কারাগারে বেগম জিয়ার সঙ্গে দুবার সাক্ষাৎ করেন। এছাড়াও বেগম গিয়া বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে চিকিৎসার জন্য গেলে সেখানে তাঁর দুই কন্যাকে নিয়ে শ্বাশুড়ির সঙ্গে দেখা করেন। এর বাইরে সিঁথি মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বিএনপির একাধিক সূত্র বলছে, এর আগের বার সৈয়দা শর্মিলা রহমান এসেছিলেন বেগম খালেদা জিয়াকে সঙ্গে নিয়ে যেতে। সে সময় তাঁর চিকিৎসার জন্য প্যারোলের একটি সমঝোতা ছিল চূড়ান্ত প্রায়। ধারণা করা হয়েছিল, খুব শিগগিরই বিএনপি চেয়ারপারসন প্যারোল পাবেন এবং তিনি দীর্ঘদিনের জন্য লন্ডনে যাবেন। যে কারণেই হোক শেষ পর্যন্ত প্যারোল হয়নি। সিঁথিও যুক্তরাজ্যে ফিরে যান। এর মধ্যে এটা পরিষ্কার হয়ে গেছে, আপাতত: প্যারোল তো দূরের কথা বেগম জিয়ার জামিনেরও সম্ভাবনা নেই। বেগম জিয়ার মামলাগুলোর যে অবস্থা তাতে, নাটকীয় কিছু না ঘটলে নির্বাচনের আগে তাঁর মুক্তির কোনো সম্ভাবনা নেই। বিএনপি নেতারাও এখন প্রকাশ্যে বলছেন, আন্দোলন ছাড়া বেগম জিয়ার মুক্তির পথ খোলা নাই।
কিন্তু বেগম জিয়ার ধারণা, বড় আন্দোলন হলেই বিএনপিতে ভাঙ্গন ত্বরান্বিত হতে পারে। এজন্য গ্রেপ্তারের পর থেকেই তিনি আন্দোলনের ব্যাপারে ধীরে চলো নীতি গ্রহণ করেছিলেন। কারাগারে তাঁর সঙ্গে বিএনপি নেতৃবৃন্দ সাক্ষাৎ করতে গেলেও, বড় আন্দোলনে এখনই না যাবার নির্দেশ দেন। কিন্তু বিএনপির নেতারাই বলছেন, তাঁদের সামনে পথ খোলা নেই। আন্দোলন কীভাবে হবে, তার একটি ধারণা লন্ডনে তারেক জিয়া শর্মিলাকে দিয়েছেন। সেই নকশা নিয়ে এসে তিনি কথা বলবেন বেগম জিয়া এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে। এরপরই চূড়ান্ত হবে আন্দোলন কর্মসূচি।
অন্য একটি সূত্র বলছে, রাজনীতির ব্যাপারে তারেক জিয়ার স্ত্রী ডা. জোবায়দা রহমানের অনীহা রয়েছে। তাছাড়া তিনি দেশে আসার ঝুঁকি নিতে চান না, একারণেই সম্ভবত বেগম জিয়া ও তারেক জিয়ার অবর্তমানে শর্মিলাই বিএনপির হাল ধরবেন। শর্মিলার রাজনীতিতে আগ্রহ আছে। তবে দলের মধ্যে তার গ্রহণযোগ্যতার অভাব আছে। বাংলা ইনসাইডার
এমটিনিউজ২৪.কম/এমএম/এসএম